শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬  |   ৩৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   দিনমজুরকে জবাই করে হত্যা, ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন
  •   অবশেষে চাঁসক সহকারী অধ্যাপক কামরুল হাছানকে বদলি
  •   নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে সড়কের ওপর ভবন নির্মাণের অভিযোগ
  •   বাবা মায়ের উপর ছেলেদের নৃশংসতা ।। বৃদ্ধ বাবার থানায় অভিযোগ
  •   ফিরে এলেন আগের খতিব, নামাজের আগে নাটকীয়তা বায়তুল মোকাররমে

প্রকাশ : ০৬ জুন ২০২৪, ০০:০০

সরেজমিন প্রতিবেদন-১১ : বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন

কৃষি অফিসার ইউনিয়ন পরিষদে আসেন, সেখান থেকে চলে যান

সোহাঈদ খান জিয়া ॥
কৃষি অফিসার ইউনিয়ন পরিষদে আসেন, সেখান থেকে চলে যান

চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নটি চাঁদপুর সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন থেকে সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নে ১৫ হাজার কৃষক রয়েছেন। এখানে বেশির ভাগই কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। এ ইউনিয়নে ৩টি ব্লক রয়েছে। ব্লক গুলো হচ্ছে মনোহরখাদী, বিষ্ণুপুর ও নুরুল্লাপুর। এসব ব্লকের দায়িত্বে আছেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন। তিনি ইউনিয়ন পরিষদে আসেন আবার সেখান থেকে চলে যান।

ক’জন কৃষক বলেছেন, কৃষি কার্ড করেছি, উইপোকা ধরেছে। কৃষি কার্ডের কিছুই পাই না। কৃষি কার্ড দিয়ে বিসমিল্লাহও করতে পারি না। কাকে বীজ ও সার দেয় তাও আমরা জানি না। আমরা কোনো সময় সার ও বীজ কিছু পাই না। মেম্বার বলতে পারবেন কৃষকের জন্যে কী কী আসে। এভাবেই আবেগাপ্লুত হয়ে কথাগুলো বলে ফেললেন কৃষকগণ। তারা আরো বলেন, কৃষি অফিসার আমাদের এলাকায় আসতে দেখি না। আমরা নিজেদের টাকায় ধান, সার ও বীজ কিনে জমি চাষাবাদ করে আসছি। সরকারি কোনো প্রণোদনা আমরা পাই না। কৃষি অফিসারের কী নাম ও কবে আমাদের এলাকায় এসেছেন তাও জানি না।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেনের বাড়ি ফরিদগঞ্জে হলেও চাকুরির সুবাদে চাঁদপুর শহরে থাকেন।

এ ব্যাপারে ধনপদ্দি গ্রামের কৃষক আঃ রাজ্জাক প্রধানীয়া বলেন, আমি ধান, আলু, ভুট্টা ও পাট চাষাবাদ করে আসছি। নিজের টাকায় চাষাবাদকৃত জিনিস কিনে থাকি। কৃষি অফিসারের কী নাম তা জানি না। আমাদের এলাকায় আসতে দেখি না। মেম্বার বলতে পারবেন কৃষকের জন্যে কী কী আসে। এ বছর ৬০ শতাংশ জমিতে ভুট্টা চাষাবাদ করেছি।

কৃষক আমির হোসেন বলেন, কৃষি অফিসার আমি কোনো সময় দেখি না। আমরা সরকারি কোনো কিছু পাই না। কে পায় তাও জানি না।

কাদির খান ও মসজিদের ইমাম বলেন, কৃষি অফিসার ইউনিয়ন পরিষদে আসেন, আবার সেখান থেকে চলে যান। কৃষি কার্ড দিয়ে বিসমিল্লাহ করতে পারে না। এলাকায় আসেন না।

খেরুদিয়া গ্রামের মিজানুর রহমান বকাউল বলেন, গত বছর কৃষি অফিসার এসেছেন। এ বছর এখনো দেখি না। আমার সরকারি ধান, সার ও বীজ কিছু পাই না। নেতারা খায়।

জয়নাল আবেদীন পাঠান বলেন, কৃষি কার্ড হয়েছে। কিছু পাই না। কৃষি কার্ডে মনে হয় উইপোকা ধরেছে। কৃষি অফিসারকে আসতে দেখি না।

এ ব্যাপারে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন বলেন, আমার ৩টি ব্লকে ১৫ হাজার কৃষক রয়েছে। আমি নিয়মিত ব্লকে যাই। পুরো ইউনিয়ন ঘুরে দেখি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়