মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মিশরে ঈদে মিলাদুন্নবীর ঐতিহ্য ‘আরুসাত-আল-মোলিদ’ : জন্মদিনের পুতুল
  •   'বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চেতনার রাজনৈতিক শক্তির বিকাশ অপরিহার্য'
  •   চাঁদপুরের ২৪তম পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব
  •   ফরিদগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে শোভাযাত্রা
  •   ওয়াইফাই সংযোগ দিতে গিয়ে প্রাণ গেল যুবকের

প্রকাশ : ০৩ জুন ২০২৪, ০০:০০

ঘূর্ণিঝড় রেমাল : চাঁদপুরে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হলেও কোথাও জলাবদ্ধতা হয়নি

চাঁদপুর কণ্ঠ রিপোর্ট ॥
ঘূর্ণিঝড় রেমাল : চাঁদপুরে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হলেও কোথাও জলাবদ্ধতা হয়নি

এবারের ঘূর্ণিঝড়ে একটি ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্য ছিল বিরামহীন বৃষ্টি। কখনো মুষলধারে, কখনো থেমে থেমে মাঝারি ধরনের। যা বিগত কোনো ঘূর্ণিঝড়ের সময় এমনটা দেখা যায় নি। আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে, সারাদেশের মধ্যে চাঁদপুরে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে- এই ঘূর্ণিঝড়ের সময় চাঁদপুরে ২৪ ঘণ্টায় ২৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। তবে এমন রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হলেও চাঁদপুরের কোথাও জলাবদ্ধতা হয়নি। বৃষ্টির পরপরই পানি নেমে গেছে।

গত ২৭ ও ২৮ মে ঘূর্ণিঝড় রেমালের সময়কাল। এরমধ্যে ২৭ মে দুপুরের পরে চাঁদপুরে তীব্রভাবে শুরু হয় ঘূর্ণিঝড়। টানা রাত ১০টা পর্যন্ত চলে তীব্র ঝড়ো বাতাস এবং বৃষ্টি। এই বৃষ্টি কখনো কখনো মুষলধারে হয়। এর আগে ২৬ মে শেষ রাত থেকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব শুরু হয়। তখন থেকেই শুরু হয় বৃষ্টি। মূলত ২৭ মে দুপুর থেকে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। এই সময়ই চাঁদপুর আবহাওয়া অফিস ২৪ ঘণ্টার বৃষ্টি রেকর্ড করে। যা পরিমাণে দাঁড়ায় ২৫৭ মিলিমিটার। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এমন রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি দেশের কোথাও হয়নি।

এদিকে এমন রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হলেও চাঁদপুর শহরের কোথাও জলাবদ্ধতা হতে দেখা যায়নি। শহরের প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এমন বৃষ্টি হলেও কোথাও জলাবদ্ধতা হয়নি। বৃষ্টি বন্ধ হওয়ার পর পরই পানি নেমে গেছে। কোথাও পানি আটকে থাকেনি। এই সফলতার পেছনে কী কারণ থাকতে পারে সে বিষয়ে কথা হয় চাঁদপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী এএইচএম শামসুদ্দোহার সাথে। তিনি বলেন, পৌরসভার যে ড্রেনগুলো রয়েছে এগুলো আমরা পুরোপুরি সচল রেখেছি। আমাদের মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল মহোদয়ের এদিকে খুবই সতর্ক দৃষ্টি ছিল যে, বর্ষা মৌসুমে কোনোভাবেই শহরে জলাবদ্ধতা হতে পারবে না। সে লক্ষ্য ড্রেনগুলো যেনো সবসময় পরিষ্কার করে সচল রাখা হয়। তিনি আরো বলেন, বর্তমান মেয়র মহোদয়ের সময়কালে চাঁদপুর পৌর এলাকায় নতুন অনেক ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে। যেসব পাড়া-মহল্লায় আগে বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা হতো, সে সব এলাকায় ড্রেন হওয়ায় এই ঘূর্ণিঝড়ে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হওয়ার পরও সেখানে জলাবদ্ধতা হয়নি। তিনি বলেন, আরো বেশ কিছু ড্রেন নির্মাণ কাজ চলমান আছে। এগুলোর কাজ শেষ হয়ে গেলে শহরবাসী এর সুফল ভোগ করবে।

চাঁদপুর শহরের ১৫নং ওয়ার্ডস্থ জিটি রোড উত্তর এলাকার বাসিন্দা মাওঃ আবদুর রহমান গাজী, জিএম রাকিব হোসাইন ও শাহ আলম খানসহ আরো কিছু মানুষ এই প্রতিবেদককে বলেন, আগে বৃষ্টি হলেই আমাদের এলাকার প্রধান সড়ক জিটি রোড এবং আশপাশে ব্যাপক জলাবদ্ধতা হতো। বর্তমান মেয়র মহোদয় জিটি রোডটি ভালোভাবে আরসিসি ঢালাই দিয়ে নতুন রাস্তা করে দেয়ায় এবং এখানকার ড্রেন সবসময় পরিষ্কার করে সচল রাখায় এই ঘূর্ণিঝড়ে প্রবল বৃষ্টি হওয়ার পরও আমাদের এলাকায় জলাবদ্ধতা হয়নি। এজন্য আমরা এলাকাবাসী মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েলের প্রতি কৃতজ্ঞ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়