প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০
চাঁদপুরে ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে জেলা বিএনপির আয়োজনে প্রথম প্রহরে রাত ১২টার সময় কেক কাটা ও বুধবার বিকেল ৪টায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপ্রধানের বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক। তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এ দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করার কারণে আজকের প্রধানমন্ত্রী দেশে আসতে পেরেছেন। আর এখন তারা ক্ষমতায় এসে সেই জিয়াউর রহমানের নামেই কটুক্তি করছে, তাঁর মৃতদেহ যেখানে পড়ে আছে সেই কবর নিয়ে মিথ্যাচার করছে। সরকারের কৃষিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে খুশি করার জন্যে যে অশালীন ভাষা ব্যবহার করছেন, আজকের প্রজন্ম এমন অশালীন ভাষা পছন্দ করে না।
শেখ মানিক বলেন, সারাদেশ দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। চাঁদপুরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হবে ভালো কথা। কিন্তু ৫০ হাজার টাকার জমি ৯ লাখ টাকা করে রেজিস্ট্রি করে জনগণের টাকা আপনারা নিয়ে যাবেন, সেটা চাঁদপুরবাসী হতে দেবে না। জমি অধিগ্রহণ হয় নি, অথচ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইনবোর্ড লাগানো আছে। মন্ত্রণালয়ের ভেতরে পর্দার অন্তরালে কী হচ্ছে জনগণ জানতে চায়।
তিনি আরো বলেন, চাঁদপুরে জনগণকে নিয়ে জেলা বিএনপির সকল স্তরের নেতা-কর্মী আগামী দিনে নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্যে আন্দোলনে নামতে প্রস্তুত। আগামীদিনের কর্মসূচিতে যতো বাধাই আসুক জনগণকে নিয়ে মোকাবেলা করবো এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে আমরা সক্রিয় থাকবো।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মুনীর চৌধুরীর পরিচালনায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডঃ সলিম উল্যা সেলিম, যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আনোয়ার বাবলু, দেওয়ান সফিকুজ্জামান, সেলিমুস্ সালাম, ফেরদৌস আলম বাবু, খলিলুর রহমান গাজী, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ হারুনুর রশিদ, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ জাহাঙ্গীর হোসেন খান, পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আফজাল হোসেন, সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডঃ জাকির হোসেন ফয়সাল, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাদল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হযরত আলী ঢালী, জেলা যুবদলের সভাপতি মানিকুর রহমান মানিক, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ নূরুল আমিন খান আকাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ বাহার, জেলা কৃষক দলের সভাপতি এনায়েত উল্লাহ খোকন, জেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি মোস্তফা কামাল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ইমান হোসেন গাজী প্রমুখ।
জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জসীম উদ্দীন খান বাবুল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েল, জেলা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, জেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া, জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক পারভেজ আলম রবিন, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন পাটোয়ারী, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর ররহমান সোহাগসহ বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের অসংখ্য নেতা-কর্মী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এদিন দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হলেও পুরো অনুষ্ঠানজুড়েই সরকারের তীব্র সমালোচনা ও সরকার পতনের আন্দোলন নিয়ে সরব ছিলেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। তারা এদিন খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে জড়ো হয়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নজরদারি ছিলো সেখানে।