প্রকাশ : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
শাহরাস্তি সরকারি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে নকল সরবরাহের দায়ে শিক্ষক আটক
শাহরাস্তিতে এসএসসি পরীক্ষায় নকল সরবরাহ করার দায়ে প্রভাষককে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত মিশু দে খিলাবাজার স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক। ২৫ ফেব্রুয়ারি রোববার এসএসসির গণিত পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের মাঝে নকল সরবরাহের অপরাধে তাকে বহিষ্কার করেন শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইয়াসির আরাফাত।
জানা গেছে, প্রভাষক মিশু দে তার নিজ স্কুলের শিক্ষার্থীদের নকল সরবরাহ করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়াসির আরাফাত উক্ত নকলের কপিসহ এক পরীক্ষার্থীকে হাতেনাতে ধরে ফেললে সে প্রভাষক মিশু দের নাম বলে। বিষয়টি জানতে পেরে অভিযুক্ত শিক্ষক ছাত্রীদের টয়লেটে লুকিয়ে পড়েন। বেশ কিছু সময় পর তাকে টয়লেট থেকে উদ্ধার করে আটক করা হয়। এ বিষয়ে শাহরাস্তি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পরীক্ষার কেন্দ্র সচিব ও শাহরাস্তি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ঈমাম হোসেন জানান, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ওই স্কুলকেন্দ্রে গণিত পরীক্ষা চলাকালীন খিলাবাজার স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক মিশু দে ১১৯নং কক্ষে শিক্ষার্থীদের নকল সরবরাহ করেন। যা পরবর্তীতে ওই কক্ষের মেঝে হতে উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি নকল সরবরাহের বিষয়টি স্বীকার করেন। অভিযুক্ত ওই শিক্ষক জানান, ১১৯নং কক্ষে তার বিদ্যালয়ের ২৩ জন পরীক্ষার্থী গণিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। তাদেরকে গণিত পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে ৭(গ) প্রশ্নের উত্তর লিখে সরবরাহ করেছেন মিশু দে। তাই নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নকল সরবরাহ করে পরীক্ষা কেন্দ্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করায় তার বিরুদ্ধে পবালিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) আইন ১৯৮০-এর ৯ ধারা মোতাবেক নিয়মিত মামলা রুজু করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণের জন্যে সুপারিশ করা হয়েছে।
শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইয়াসির আরাফাত বলেন, নকল সরবরাহ করে ধরা পড়ার ভয়ে তিনি একটি টয়লেটে আত্মগোপন করেছিলেন। তবে পরে তিনি সবকিছু স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়েরের জন্যে থানায় প্রেরণ করা হয়েছে।