প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
মাদক বিক্রিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে
কাঁচ্চা কলোনীর ধর্মীয় ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বাসা-বাড়িতে হামলা
আটক ১ ব্যক্তিকে মুচলেকায় ছাড় ॥ আহত ৪
চাঁদপুর শহরে মাদক বিক্রির আধিপত্যকে কেন্দ্র করে কাঁচ্চা কলোনী এলাকায় পর পর দু’দিন হামলা করেছে সন্ত্রাসীরা। সন্ত্রাসীদের হামলা থেকে রেহাই পায়নি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বাসা বাড়ি। এ ঘটনায় পুলিশ সাদ্দাম (পিতা আঃ হান্নান, বকুলতলা, চাঁদপুর)কে আটক করে।
জানা যায়, চাঁদপুর শহরের কয়লা ঘাট এলাকার চিহ্নিত একটি মাদক মাদক বিক্রেতা চক্র প্রায়শই কাঁচ্চা কলোনী এলাকায় গিয়ে মাদক বিক্রি করে। এ মাদক বিক্রির ঘটনায় কাঁচ্চা কলোনীর তরুণরা বাধা প্রদান করে। এতে কয়লা ঘাট এলাকা ও শহরের বকুলতলা এলাকার একটি সস্ত্রাসী গ্রুপ ঐক্যবদ্ধ হয়ে পর পর দুদিন শহরের কাঁচ্চা কলোনী এলাকায় হামলা চালিয়ে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বাসা-বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর করে। ঘটনার প্রথম দিনে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশকে জানালে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনে।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি একই গ্রুপ কাঁচ্চা কলোনীতে গিয়ে পুনরায় হামলা চালায়। তখন ঘটনাটি এলাকাবাসী মডেল থানা পুলিশকে আবার অবহিত করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এক পর্যায়ে মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শেখ মুহসীন আলমের নেতৃত্বে কয়লাঘাট এলাকায় মাদক বিরোধী ব্লক রেইড পরিচালনা করা হয়। উক্ত অভিযানে পুলিশ মাদকসহ দুমাদক বিক্রেতাকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করে।
কাঁচ্চা কলোনীর কমপক্ষে ৭টির বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এই সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয় এবং বাসা বাড়িগুলো ভাংচুর ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় ৩টি অভিযোগ অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। হামলায় ৪জন আহত হয়ে চাঁদপুরে জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মডেল থানায় নিম্ন লিখিতদের দায়ী করে ৩ জন ভুক্তভোগী অভিযোগ দায়ের করেছেন। এরা হলেন- বিপ্লব (২৫) (পিতা করিম, কুলিবাগান, বকুলতলা), শাকিল (২৪) (পিতা বিল্লাল সাপুড়ে, ৩নং কয়লাঘাট), মনির (২২) (পিতা মৃত পিয়াজুল বেপারী, কবরস্থান রোড), সাগর (২৩) (পিতা ফারুক, কুলিবাগান, বকুলতলা), সিয়াম (২৫) (পিতা ইনু বেপারী, কোড়ালিয়া), শাহিন পেদা (২৩) (পিতা আমির পেদা, ৩নং কয়লাঘাট), অপু (২১) (পিতা হানিফ, কুলিবাগান, বকুলতলা), আনোয়ার (২৩) (পিতা অজ্ঞাত, কুলিবাগান, বকুলতলা), ফরহাদ (২২) (পিতা অজ্ঞাত, কুলিবাগান, বকুলতলা), রমজান (পিতা অজ্ঞাত, কবরস্থান রোড), রোহান (পিতা অজ্ঞাত, কলাবাগান, বকুলতলা) এবং আলাউদ্দিন (পিতা অজ্ঞাত, ক্লাব রোড, বড় ষ্টেশন) সর্ব থানা ও জেলা চাঁদপুর।
এদিকে ঘটনাস্থল থেকে আটক সাদ্দামকে গতকাল ২৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে মুচলেকা নিয়ে অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।
এ ঘটনার বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শেখ মুহসীন আলমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। পাশাপাশি ঘটনার সূত্রপাত এবং ঘটনার বিষয়ে জেনে রাতেই অভিযান পরিচালনা করা হয়। সংশ্লিষ্ট মাদক ব্যবসায়ীদের আটক অভিযান অব্যাহত থাকবে। ইতিমধ্যে যে ক’জনকে আটক করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়েছে।