প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
চাঁদপুর সদর মডেল থানা ওসির মহতী উদ্যোগ
যাত্রীবাহী লঞ্চ থেকে উদ্ধার হওয়া দু শিশুকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর
ঢাকা থেকে চাঁদপুরগামী যাত্রীবাহী লঞ্চে রাতে দুটি শিশু ভুল করে চাঁদপুরে চলে আসে। পরে ওদের কান্নাকাটিতে স্থানীয় জনগণের সহায়তায় তাদেরকে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পুলিশ তাদের কাছ থেকে পুরো তথ্য জেনে তাদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে। অবশেষে ওসি মোঃ শেখ মুহসীন আলমের অক্লান্ত চেষ্টায় উদ্ধার হওয়া শিশুদের পরিবারের খোঁজ শুরু করা হয়। এক পর্যায়ে ২২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেলে শিশু দুটির পরিবার চাঁদপুর মডেল থানায় আসার পর ওসি তাদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে শিশুদের হস্তান্তর করেন।
জানা যায়, ঢাকা পুলিশ হেডকোয়ার্টারের পাশে বসবাসকারী ইউসুফের মেয়ে তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী ঝুমুর ও সেলিমের মেয়ে তাবাছসুম একই সাথে ঘর থেকে বের হয়ে ঢাকা সদরঘাটে চলে আসে। পরে তারা চাঁদপুরের লঞ্চে উঠে পড়লে ক’জন যাত্রী তাদেরকে কাঁদতে দেখে বাবুরহাট নিয়ে যায়। পরবর্তীতে পুলিশকে খবর দিলে মডেল থানার এসআই নয়ন তাদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। তাদের সন্ধান পেতে চাঁদপুর মডেল থানার ওসি ঢাকায় বিভিন্ন থানায় সংবাদটি প্রেরণ করে। এতে তাদের পরিবারের সন্ধান খুঁজে পায় পুলিশ। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিখোঁজ ২ শিশুর সংবাদ প্রচার করা হয়।
উদ্ধার হওয়া শিশুদের পরিবারের স্বজনরা মডেল থানার ওসি মোঃ শেখ মুহসীন আলমের সাথে যোগাযোগ করে চাঁদপুরে চলে আসেন। উদ্ধার হওয়া দুজন শিশু একে অপরের বান্ধবী। বাড়ি থেকে তারা দুজন না বলে লঞ্চযোগে চাঁদপুরে আসার পর তাদের পরিবারের স্বজনরা ব্যাপক খোঁজাখুঁজি করেন।
নিখোঁজ হওয়া সন্তানদের ফিরে পেয়ে শিশুদের মা তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, বহু খোঁজাখুঁজির পর পুলিশের সহযোগিতায় তাদের সন্তানদেরকে খুঁজে পেয়ে খুবই আনন্দিত। চাঁদপুর মডেল থানার ওসি মোঃ শেখ মুহসীন আলম নিজে একজন পুলিশ কর্মকর্তা নন, তিনি যেন একজন ফেরেশতা।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি জানান, লঞ্চ থেকে উদ্ধার হওয়া শিশু দুজনকে পুলিশ হেফাজতে রাখার পর তাদের পরিবারের সন্ধান পেতে অনেক চেষ্টা করা হয়। অবশেষে তাদের সাথে যোগাযোগ করে এই অবুঝ দুই শিশুকে তাদের পরিবারের কাছে দিতে পেরে নিজেকে খুব ধন্য মনে করছি। সন্তানরা কোথায় যায় কী করে তার দেখার দায়িত্ব পরিবারের। তাই আমরা সকল অভিভাবককে অনুরোধ করি, দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করুন, সন্তানদের প্রতিনিয়ত খোঁজ খবর রাখুন।