প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
একটি ব্রিজ : ভয়াবহ যানজট, অবর্ণনীয় দুর্ভোগ!
চাঁদপুর শহরের এসবি খালের উপর দিয়ে তিনটি ব্রিজ। একটি মেথা রোড ও জেএম সেনগুপ্ত রোড সংযোগ ব্রিজ, আরেকটি শহীদ মিনার ও হকার্স মার্কেটের মাঝখানে, অপরটি ঘোষপাড়া এলাকায়। ব্রিজ তিনটার অবস্থান এরকম যে-মানুষের শরীর আর গলা। শরীর প্রশস্ত, গলা সরু। রাস্তা থেকে ব্রিজগুলো খুবই সরু। বলতে গেলে ব্রিজের প্রস্থ রাস্তার অর্ধেক। যার কারণে ব্রিজের উপর দিয়ে যানবাহন পারাপারে যানজটের সৃষ্টি হয়। কোনো সময় এই যানজট ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এ রকম একটা ব্রিজ হলো চাঁদপুর শহরের নতুন বাজার এলাকায় জেএম সেনগুপ্ত রোড ও মেথা রোডের সংযোগ ব্রিজ। এই ব্রিজটা এতোটাই সরু যে, একমুখী যানবাহন কোনোরকমভাবে চলাচল করতে পারে। তাও মালবাহী বড় গাড়ি হলে সহজেই ব্রিজ পার হওয়া যায় না। আর দুমুখী যানবাহন ব্রিজ পার হতে নিলেই তখন গাড়ি আটকে যায়। এই ব্রিজের উপর দিয়ে বড় গাড়ি কোনোভাবেই অনায়াসে পার হতে পারে না। গাড়ি ঘুরার জায়গা নেই। দুই পাশের রাস্তাও খুবই সরু। এ অবস্থায় মেথা রোড ও জেএম সেনগুপ্ত রোডে ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা এখানে যানজট থাকে। এ সময় মানুষের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ যানজট এবং দুর্ভোগ দিন দিন বেড়েই চলছে। চাঁদপুর শহরের ভয়াবহ যানজটের কয়েকটি স্পটের এটি অন্যতম।
ছবিগুলো গতকাল দুপুর ১টার সময়ের। সেই সময়কার চিত্র ছিলো এরকম-ব্রিজ থেকে দক্ষিণ দিকে মুখার্জি ঘাট, পূর্ব দিকে নতুন বাজার বিদ্যুৎ অফিস, পশ্চিম দিকে জোড় পুকুর পাড়, উত্তর দিকে আদালত পাড়া পুলিশ ফাঁড়ি পর্যন্ত পুরো এলাকায় ভয়াবহ যানজট। ঘণ্টাব্যাপী ছিলো এই যানজট। গাড়ি নড়াচড়া করার কোনো উপায় নেই। মেথা রোড এলাকার এই ব্রিজকেন্দ্রিক যানজট এখন প্রতিদিন লেগেই থাকে। এখানকার যানজট সমস্যা দীর্ঘদিনের। দিন দিন এটি আরো প্রকট হচ্ছে। এর থেকে পরিত্রাণের একমাত্র পথ--মেথা রোডটি দুই পাশে প্রশস্ত করে ব্রিজটি বড় করা। এটি এখন সময়ের দাবি। শহরবাসীর বক্তব্য : এটা বর্তমান মেয়র মহোদয়ের পক্ষেই সম্ভব। তিনি ইতোমধ্যে চাঁদপুর শহরে দুঃসাহসিক উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে বহু রাস্তা এবং জনগুরুত্বপূর্ণ মোড় প্রশস্ত করেছেন। যার সুফল জনগণ পাচ্ছে। মেথা রোডটিও তিনি উদ্যোগ নিলে প্রশস্ত করতে পারবেন। মেথা রোড লাগোয়া পূর্ব পাশের দোকান, পার্টি অফিসসহ অন্যান্য স্থাপনার লিজ বাতিল করে এবং পূর্ব অংশে বাসা-বাড়ির বাউন্ডারি দেয়ালসহ রাস্তায় চলে আসা বাড়ির অংশ উচ্ছেদ করে রাস্তাটি দুপাশে প্রশস্ত করা হোক। একই সাথে ব্রিজটি দুই পাশে সমপরিমাণ বাড়ানো হোক। ছবি ও প্রতিবেদন : এএইচএম আহসান উল্লাহ।