প্রকাশ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
পুরাণবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি পুনঃনির্মাণের দাবি
৫৫ বছর আগে নির্মিত চাঁদপুরের পুরাণবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি পুনঃনির্মাণের দাবি জানিয়েছে পুরাণবাজারের সুধীমহল। স্থানীয়রা জানান, ১৯৬৯ সালের পহেলা জানুয়ারি মধূসুদন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবু চিত্ত রঞ্জন রায় চৌধুরী পুরাণবাজারে শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং একই বছর ২১ ফেব্রুয়ারিতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মিজানুর রহমান চৌধুরী এটি উদ্বোধন করেন। এই শহীদ মিনারটিই ছিলো ভাষা শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে নির্মিত চাঁদপুরের প্রথম শহীদ মিনার।
স্থানীয়রা আরও জানান, ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার আলবদরদের সহযোগিতায় তৎকালীন সময়ে এই শহীদ মিনারটি গুড়িয়ে দিয়েছিলো। স্বাধীনতা পরবর্তীতে ১৯৭৩/৭৪-এর দিকে এই শহীদ মিনার নির্মাণের সাথে সম্পৃক্ত পুরাণবাজারের ছাত্র সংসদের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং পুরাণবাজারের কিছু স্বহৃদয় ব্যক্তির সহযোগিতায় তারা নিজেরা শ্রম দিয়ে শহীদ মিনারটি পুনঃনির্মাণ করেন। যেখানে পরবর্তীতে চাঁদপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে মোঃ ইউসুফ গাজী শহরের অঙ্গীকারের নকশাকারক আব্দুল্লা খালিদের নকশা অনুযায়ী শহীদ মিনারের বেদিটির সৌন্দর্য পুনরায় ফিরিয়ে আনেন। প্রায় ৫০ বছর পূর্বে পুনঃনির্মিত এই শহীদ মিনারটি এখন নতুন করে নির্মাণ করতে এলাকাবাসী এবং শহীদ মিনারের সাথে সংশ্লিষ্ট সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিবর্গ দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে শহিদ দিবস উদযাপন পরিষদ চাঁদপুরের পুরাণবাজারের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্যাংকার মোঃ মুজিবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিগত বেশ কবছর যাবৎ পৌর কর্তৃপক্ষ ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্যে ধারাবাহিকভাবে এই শহীদ মিনারটির জন্যে আর্থিক অনুদান দিয়ে আসছে। চাঁদপুর পৌরসভার বর্তমান মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল শহীদ মিনারটি নিয়ে একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছেন। একই সাথে পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ আলী মাঝিও আমাদের আশ্বস্ত করেছেন এটির পুনঃনির্মাণ করা হবে। আশা করছি অতি সহসাই পৌর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে শহীদ মিনার পুনঃনির্মাণের কাজ শুরু করবেন। তবে শহীদ মিনারটি অরক্ষিত অবস্থায় থাকায় কতিপয় ব্যক্তির খামখেয়ালিপনায় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনসহ পুরো মাঠটি এখন প্রায়ই গো-চারণ ভূমিতে পরিণত হয়।