প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
চাঁদপুরে নৌ-পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ
মৎস সম্পদ রক্ষা ও অবৈধ জালের ব্যবহার বন্ধে নৌপুলিশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তবে চাঁদপুরের জেলেদের অভিযোগ, প্রতিনিয়তই নৌপুলিশের হয়রানি ও চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছেন তারা। জালের ধরণ সঠিক নয় দাবি করে চলে অর্থ আদায়।
কর্তৃপক্ষ বলছে, জালের প্রকারভেদ ও মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা নিয়ে অনেক সময় ভুল বোঝাবুঝি হয়। আর অনিয়মের অভিযোগে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস প্রশাসনের।
চাঁদপুরের ষাটনল থেকে চরভৈরবী পর্যন্ত মেঘনার প্রায় ৭০ কিলোমিটার এলাকায় মাছ আহরণ করেন অর্ধলক্ষ জেলে। নানা অজুহাতে নৌ-পুলিশ তাদের হয়রানি করে, এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
জেলেদের দাবি, অবৈধ জাল ব্যবহারের মিথ্যা অভিযোগে নৌপুলিশের সদস্যরা প্রায়ই তাদের আটক করেন। আর চাহিদা মতো টাকা না পেলে মামলা দায়ের হয়।
সম্প্রতি মৎস্য বিভাগের এক সভায় নৌপুলিশের বিরুদ্ধে স্থানীয় সংসদ সদস্য দীপু মনির কাছে এমন অভিযোগ করেন জেলেরা।
দীপু মনি বলেন, ‘অভিযোগ আছে আইন শৃংখলা বাহিনীর কেউ কেউ জেলে ভাইদের হয়রানি করে। তারা বিভিন্ন অজুহাতে এই হয়রানি করছে। তারা হয়তো আইনসম্মত জাল ব্যবহার করছে। সংশ্লিষ্ট সকলকে আমি আহবান জানাবো স্বাভাবিক সময়ে জেলেদের হয়রানির বিষয়টি খতিয়ে দেখে এটি নিরসন করতে।’
তবে নৌ-পুলিশের দাবি, জালের আকার ও ব্যবহার নিয়ে জেলেদের মাঝে বিভ্রান্তি থাকায় অনেক সময় ভুল বোঝাবুঝি হয়। অনিয়ম হলে তা জানানোর জন্যে জেলেদের মাঝে নিজের ভিজিটিং কার্ড বিতরণ করেছেন চাঁদপুর অঞ্চলের নৌ-পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান।
মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, ‘জেলেদের কাছে কোন পুলিশ সদস্য অনৈতিক বিষয় চাপিয়ে দিচ্ছে, এই বিষয়ে আমরা পূর্ব থেকেই সতর্ক। এমন কিছু হলে যেন আমাকে জানানো হয়। অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে অনিয়মের প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। সূত্র : ইনডিপেনডেন্ট ডেস্ক