সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
  •   দৈনিক ইনকিলাবের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ্ মিজির দাফন সম্পন্ন
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২১, ০০:০০

হাজীগঞ্জের ৩ প্রবাসীর লাশ হিমঘরে ॥ ফিরিয়ে আনতে পরিবারগুলোর আকুতি
কামরুজ্জামান টুটুল ॥

গত ১ মাসে হাজীগঞ্জের ৩ রেমিট্যান্সযোদ্ধা তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে হৃদরোগ ও সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। নিহত সবার লাশ পড়ে রয়েছে তাদের কর্মস্থলের দেশসমূহের হিমঘরে। নিহতদের লাশ দেশে আনার জন্যে তাদের পরিবার-পরিজন সরকারের কাছে আকুল আকুতি জানিয়েছেন। কেননা সরকারের সহায়তা ছাড়া তাদের স্বজনদের পক্ষে লাশ দেশে ফিরিয়ে আনার সাধ্য নেই।

গত ২৭ জুলাই মঙ্গলবার মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান বড়কূল পূর্ব ইউনিয়নের মজিবর রহমান (৩৫)। তিনি ওই ইউনিয়নের মোল্লাডহর গ্রামের আটিয়া বাড়ির আলহাজ ফজর আলীর ছেলে। গত ১৫ আগস্ট সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান মোঃ মহিন উদ্দিন (২৪)। তিনি উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের আহাম্মদপুর গ্রামের আকন্দ বাড়ির সফিউল্যার ছেলে। সর্বশেষ গত ২৪ আগস্ট বাহরাইনে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান ১০নং গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের দেশগাঁও সরকার বাড়ির জুনাব আলী সরকারের ছেলে সোহাগ সরকার (৩৫)।

নিহতদের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মালয়েশিয়ায় মজিবর রহমান, আবুধাবিতে মহিন ও বাহরাইনে সোহাগ মারা যাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তারা বিভিন্ন সূত্রে নিশ্চিত হয়েছে তাদের স্বজন মারা গেছে। নিহতদের পরিবারগুলো স্থানীয় সাংবাদিকদের মাধ্যমে আকুতি জানিয়ে বলেছে, সরকারের সহযোগিতা ছাড়া লাশ আনা সম্ভব নয়। তাদের স্বজনের লাশ ঠিক কতো দিন এভাবে বিদেশের হাসপাতালগুলোর হিমঘরে পড়ে থাকবে তা এখনো জানেনি নিহতের কারো পরিবার।

মজিবর রহমানের নিকটাত্মীয় মজিবুর রহমান রনি জানান, আমার বেয়াই মারা গেছে ১ মাস হতে চললো। এখনো লাশ আনার প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব হয়নি। লাশ আনতে সরকারের সহায়তা চেয়ে মজিবুর রহমান আরো বলেন, নিহতের ছোট ছোট সন্তানের দিকে তাকালে চোখের পানি ধরে রাখা যায় না।

সোহাগের এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন বাচ্চু জানান, সোহাগের লাশ দেশে আনার জন্যে ইতিমধ্যে তারা বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনের মাধ্যমে যোগাযোগ করছেন বলে শুনেছি। তবে সরকার যদি সহায়তা করে তাহলে সোহাগের লাশ দেশে আনা সম্ভব। আর সেটি সম্ভব হলে হয়তো তার মাসুম বাচ্চাটি শেষবারের মতো বাবার মুখটি দেখতে পাবে।

মহিনউদ্দিনের বাবা সফিউল্লাহ জানান, ছেলেটা দেশে আসার পর বিয়ে করিয়েছিলাম। ঘরে নতুন বউ রেখে প্রবাসে ফের সে পাড়ি জমিয়েছিল। কিন্তু এখন ছেলেকে চিরতরে হারিয়েছি। আমার তো আর কিছুই কারো কাছে চাওয়ার নেই। আমার ছেলের লাশটা যদি দেশে আনার ব্যবস্থা সরকার করে দিতো তাহলে সরকারের কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকবো।

এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বলেন, নিহতদের পরিবার লাশ দেশে আনার জন্যে যে প্রক্রিয়া রয়েছে তাতে যদি আমার সহযোগিতা প্রয়োজন হয়, তাতে আমি সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়