রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

কচুয়ায় অভিনব কায়দায় অর্ধকোটি টাকা নিয়ে উধাও এক পরিবার

বিপাকে ঋণ উত্তোলনকারী ও জামিনদার

মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ॥
কচুয়ায় অভিনব কায়দায় অর্ধকোটি টাকা নিয়ে উধাও এক পরিবার

কচুয়ায় অভিনব কায়দায় বিভিন্ন এনজিও ও আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে ধার নেয়া প্রায় ৫০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে একপরিবার। দেনা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় পরিবারটি বাড়ি-ঘর ফেলে উধাও হয়েছে বলে প্রায় দেড় মাস পূর্বে কচুয়া থানায় অভিযোগ করেন একই বাড়ির নিজ নামে ঋণ উত্তোলন করে ধার দেয়া লিপি রাণী শীল। নিখোঁজ পরিবার উপজেলার গোহট উত্তর ইউনিয়নের আইনগিরি গ্রামের শীল বাড়ির রিংকু রাণী শীল, তার স্বামী সনজিত শীল ও ছেলে অনিত শীল।

অভিযোগ সূত্রে ও লিপি রাণী শীল জানায়, রিংকু রাণী শীল বিভিন্ন অজুহাতে আমাকে এনজিও হতে টাকা উত্তোলন করে দিতে অনুরোধ করে। আমি সরল বিশ্বাসে সাজেদা ফাউন্ডেশন ও প্রত্যাশা এনজিও হতে ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা উত্তোলন করে দেয়ার পর দুই কিস্তি পরিশোধ করে তারা। আমার নামে দুই এনজিও হতে ঋণ উত্তোলনের কথা গোপন করে বাড়ির আরেক প্রতিবেশী রুমা রাণী শীলকে ম্যানেজ করে আরেক এনজিও থেকে তার নামে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা উত্তোলন করে ৮ কিস্তি পরিশোধ করে। একই কায়দায় বিভিন্ন এনজিও হতে বাড়ির বিষ্ণু রাণী শীলের নামে ৫ লাখ টাকা, কাজল রাণীর নামে ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা, স্মৃতি রাণীর নামে ৬ লাখ টাকা, মায়া রাণীর নামে ৫ লক্ষ টাকা, দিলিপ শীলের নামে ৭০ হাজার টাকা, রিপন চন্দ্র কর্মকারের নামে ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং নয়ন চন্দ্র শীলকে জামিনদার করে ব্র্যাক অফিস থেকে ১০ লাখ টাকাসহ সর্বমোট ৪৮ লাখ ২০ হাজার টাকা ঋণ নেয় রিংকু শীলের পরিবার। তারা যথাসময়ে কিস্তি পরিশোধ না করলে টালবাহানা করলে আমিসহ বাড়ির অন্যান্য ঋণ উত্তোলনকারীরা ও জামিনদার গত ১৯ ডিসেম্বর কিস্তির টাকা পরিশোধ করার জন্য অনুরোধ করলে পরে তারা আত্মগোপনে চলে যায়।

বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ উত্তোলনকারী লিপি রাণী শীল, রুমা রাণী শীল, বিষ্ণু রাণী শীল, কাজল রাণী শীল, স্মৃতি রাণী শীল, মায়া রাণী শীল, দিলিপ চন্দ্র শীল, রিপন চন্দ্র কর্মকার ও জামিনদার নয়ন চন্দ্র শীল জানান, আমরা বিভিন্ন এনজিও থেকে নিজ নামে ঋণ উত্তোলন করে রিংকু রাণী শীলকে টাকা দেই। রিংকু ও স্বামী সনজিত দূরন্ত প্রকৃতির লোক। আমাদের সরলতার সুযোগ নিয়ে আমাদেরকে ব্যবহার করে বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ উত্তোলন করে তাদের দেই। সে সুযোগে তারা আমাদের মাধ্যমে বিভিন্ন এনজিও থেকে অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। উপকার করতে গিয়ে এখন আমরা ঋণ উত্তোলনকারী ও জামিনদার মহাবিপদে পড়ে রয়েছি। এনজিও কিস্তির লোকজন প্রতিনিয়ত আমাদের কিস্তির টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করছে। এমনিতে নিজেরা কোন রকম ধার-দেনা করে সংসার চালাচ্ছি। আবার কিস্তির চাপ। কী যে বিপদে আছি সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কেউ জানেনা। এখন আমরা কী করবো বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন প্রতিবেদকের কাছে।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন বলেন, বিভিন্ন এনজিও থেকে তাদের বাড়ির আত্মীয় স্বজনদের মাধ্যমে ঋণ উত্তোলন করে রিংকু শীল ও তার পরিবারকে টাকা দেয়ার বিষয়টি আমি শুনেছি এবং আত্মগোপনের বিষয়টিও জানতে পারি। বিবাদী রিংকু রাণী শীলের ব্যবহৃত মোবাইল ০১৮৮৮১৮৭৩৫৩ ও ০১৮১২৮৪২৪৫৭ নাম্বারটিতে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও বক্তব্য নেয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা কচুয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ মিজান খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, বাড়ি থেকে চলে যাওয়া ওই পরিবারের সদস্যদের এখনো সন্ধান মিলেনি। তাদের অনুসন্ধানে পুলিশ কাজ করছে, তবে কোন এনজিও এখনো পর্যন্ত থানায় কোন লিখিত অভিযোগ দেয়নি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়