প্রকাশ : ২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
‘জামাই ভিডিও কলে মেয়ের ঝুলন্ত লাশ দেখায়’
‘সকালে আমি জামাইকে (সোহেল) ফোন করলে তিনি তা রিসিভ করেননি। পরে আমার ছেলেকে পাঠাই এবং জামাইকে আবার ভিডিও কল দেই। তখন জামাই আমাকে ঝুলন্ত অবস্থায় মেয়ে ইভার লাশ দেখায়। তারা আমার মেয়েকে মেরে টানিয়ে রেখেছে’। কথাগুলো বলছিলেন উদ্ধার হওয়া ইভা আক্তারের মা তাহমিনা বেগমের।
২৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ ইভা নামের এক কলেজ ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত নিহতের স্বামী মাদ্রাসা শিক্ষক সোহেলকে (৩০) আটক করা হয়। ঘটনাটি ঘটে হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ৫নং ওয়ার্ডের মকিমাবাদ এলাকার একটি ভাড়া বাসায়।
ইভা হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের কাজীরগাঁও গ্রামের প্রবাসী খোকনের মেয়ে। সোহেল হাজীগঞ্জ বাজারের আল-কাউসার মাদ্রাসার শিক্ষক ও মতলব উত্তর উপজেলার বাসিন্দা।
ইভার স্বজনারা জানান, ইভা হাজীগঞ্জ মডেল সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। ৫ মাস পূর্বে পারিবারিকভাবে সোহেলের সাথে তার বিয়ে হয় এবং বিয়ের পর থেকেই স্বামী ফার্নিচারসহ বিভিন্ন জিনিসপত্রের জন্যে স্ত্রীর উপর চাপ সৃষ্টি ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে। এখন ইভাকে মেরে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রশিদ জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।