সড়ক রক্ষা ও সংস্কারের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের চর রাঘবরায় গ্রামে ২৪ জানুয়ারি বুধবার দুপুরে সড়ক রক্ষা ও সংস্কারের দাবিতে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছে। মানববন্ধনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, কৃষক, চিকিৎসক, জেলেসহ দলমত নির্বিশেষে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে অংশ নেয়া এলাকাবাসী জানান, উপজেলার সোভান বাজার-ভাটিয়ালপুর-হরিণা সড়ক-জয়গঞ্জ ঘাট (Road ID No-413454019) পর্যন্ত সড়কের গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের উত্তর চররাঘর রায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে দক্ষিণ চররাঘব রায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ডাকাতিয়া নদী তীরবর্তী চর রাঘব রায় ও লামচরসহ আশেপাশের প্রায় ১০ হাজারের অধিক মানুষের যাতায়াতের একমাত্র সড়কটি স্থানীয় মৎস্যচাষীদের অপকল্পিতভাবে মাছ চাষের কারণে ভেঙ্গে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। ফলে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা ও অসুস্থ রোগীরাসহ স্থানীয়রা পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ। প্রতি বছরই ইজারার আগে পথচারীদের সড়কটি সংস্কারের আশ্বাস দিয়ে চর ইজারা দিয়ে মৎস্য চাষ করে আসছে একটি চক্র। পরে কথা অনুযায়ী কাজ করে না মৎস্য ব্যবসায়ীরা। বছরের পর বছর ধরে অপরিকল্পিতভাবে মাছের ঘের পরিচালনা করার কারণে প্রতিনিয়ত ভাঙ্গনের শিকার হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি। এই দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পেতে সড়কটি রক্ষা ও সংস্কারের দাবি জানিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে গণস্বাক্ষর দিয়ে স্মারকলিপি প্রদানের পর এ মানববন্ধন করতে বাধ্য হয়েছি। আগে সড়ক সংস্কার পরে শর্র্তসাপেক্ষে মাছের ঘের ইজারার দাবি তাদের।

মানববন্ধনে ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর মধ্যে প্রাণেশ্বর দাস, নুরু মিয়া, মিজানুর রহমান, হারুনুর রশিদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এদের মধ্যে চরে জমি থাকা হারুনুর রশিদ জানান, আমরা সড়কটি আগের অবস্থায় ফিরে পেতে চাই। প্রয়োজনে চর ইজারার এক বছরের টাকা নিবো না। মানুষের দুর্ভোগ চোখে দেখার মতো নয়। বাধ্য হয়ে এ বছর রাস্তায় নেমেছি। আজকে উপস্থিত লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে সড়কের ভেঙ্গে যাওয়া অংশে মানববন্ধন করেছে।

এদিকে খবর পেয়ে গোবিন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আহমেদ ঘটনাস্থলে এসে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি আগে সংস্কার করে পরে চর ইজারা হবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন। এ সময় তিনি বলেন, এক সময় এই সড়ক দিয়ে গাড়ি চলাচল করতো। এখন হেঁটে চলতেও কষ্ট হয়। আগে সড়কটি মেরামত করে দিবে চরের ইজারাদাররা, পরে চলতি বছরের ডাক হবে। এর আগে নয়।