প্রকাশ : ২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
হাজীগঞ্জে ভ্রাম্যমাণ আদালত দেখেই পালিয়েছে দন্ত চিকিৎসক দম্পতি
বিডিএস দাবিদার কথিত দন্ত চিকিৎসক দম্পতি ভ্রাম্যমাণ আদালত দেখেই পালিয়েছে। এ সময় চেম্বারে রোগী ও ঔষধ কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধিকে চেম্বারে বসিয়ে রেখেই সটকে পড়েন কথিত ডাঃ বিল্লাল হোসেন ও তার স্ত্রী ডাঃ পেয়ারা বিল্লাল। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত চেম্বারটি সিলগালা করে দেয়। ২৪ জানুয়ারি বুধবার হাজীগঞ্জ বাজারে এই আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদি হাসান মানিক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ গোলাম মাওলা। একই দিন একই আদালত হাজীগঞ্জ বাজারের ৫টি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে ১ লাখ ৮০ হাজার জরিমানা আরোপ ও আদায় করে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত মুঠোফোনে বারবার কথিত দন্ত এই চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করে ব্যর্থ হলে আদালত চেম্বারটি সিলগালা করে দেয়। এ সময় আদালত এই কথিত চিকিৎসক দম্পতির প্রেসক্রিপশন, ভিজিটিং কার্ড, দন্ত রোগীর পরামর্শের লিফলেটের নমুনা জব্দ করেন। এর আগে একই দিন সকাল থেকে শুরু করে দুপুরের পর পর্যন্ত ৫টি হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ১ লাখ ৯০ টাকা জরিমানা করা হয়।
জরিমানা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হলো হলো--পপুলার ল্যাব এন্ড জেনারেল হাসপাতাল ৫০ হাজার টাকা, ভিআইপি হাসপিটাল ৪০ হাজার টাকা, নিশাত হাসপাতাল ৪০ হাজার টাকা ও আল রাজী ডায়াগনস্টিক সেন্টার ৫০ হাজার টাকা।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদি হাসান মানিক জানান, ডেন্টাল কেয়ারকে সিলগালা করা হয়েছে। সে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে পারলে তা খুলে দেয়া হবে। অপর এক প্রশ্নে আদালত জানায়, অব্যবস্থাপনার দায়ে বিভিন্ন হাসপাতালে অভিযান চলমান থাকবে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার ভিন্ন দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত আলাদাভাবে হাজীগঞ্জ বাজারে অভিযান পরিচালনা করে ১৪টি হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে সোয়া ৫ লাখ টাকা জরিমানা আদায় ও এইচজিহেলথ সেন্টারকে সিলগালা করে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জুনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ আবু ছাইদ মোস্তফা, উপজেলা স্যানিটারী কর্মকর্তা শামছুল ইসলাম রমিজ।