প্রকাশ : ২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
হাজীগঞ্জে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দিনভর অভিযান
অব্যবস্থাপনার দায়ে এইচজি হেলথ কেয়ার বন্ধ ঘোষণা ॥ ১২ প্রতিষ্ঠানকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা
হাজীগঞ্জে অব্যবস্থাপনার দায়ে একটি বেসরকারি হাসপাতাল বন্ধসহ ১২টি হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে মোট সোয়া ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পৃথকভাবে পরিচালিত দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত।
২৩ জানুয়ারি মঙ্গলবার দিনভর পৃথক দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস শীল ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদি হাসান মানিক।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, হাজীগঞ্জ বাজারে প্রায় ৩৫টি বেসরকারি হাসপাতাল এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। ২-১টি বাদে বেশিরভাগ নিবন্ধন না থাকা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, নিম্নমানের কিটের ব্যবহার, প্রয়োজনীয় সংখ্যক সেবিকা না থাকা, মেডিসিন বর্জ্য অব্যবস্থাপনা, রেজিস্টার সেবার মূল্যমান ঠিক না থাকা, যথানিয়মে এক্স-রে রুম তৈরি না করা, টেকনিশিয়ান না থাকা, নিবন্ধিত চিকিৎসক তথ্য সংগ্রহে না রাখা, স্যাম্পল রুম অপরিচ্ছন্ন রাখাসহ নানা অনিয়মের কারণে এসব জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
এ সময় হাজীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল, সেন্ট্রাল হাসপাতাল ও এইচজি হেলথ কেয়ারকে ১ লাখ টাকা করে মোট ৩ লাখ টাকা, মিডওয়ে হসপিটালকে ৩৫ হাজার, একুশে হাসপাতালকে ২০ হাজার, রয়েল হসপিটাল এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫০ হাজার, হাজীগঞ্জ মুন হাসপাতাল এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫০ হাজার টাকা, আরিয়ানা মেডিকেল সেন্টারকে ৩০ হাজার টাকা, শাহ মিরান হাসপাতালকে ২০ হাজার টাকা, শাহজাহান মেমোরিয়াল হসপিটাল এন্ড ট্রমা সেন্টারকে ১০ হাজার টাকা ও হাজীগঞ্জ কমপ্যাথকে ১০ হাজার টাকাসহ মোট ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বিসমিল্লাহ হাসপাতাল এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। তবে হাসপাতালটির ব্যবস্থাপনাসহ সকল বিষয় নিয়মের মধ্যে থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ সময় এইচজি হেলথ কেয়ারকে সাময়িকভাবে বন্ধ করা এবং সেন্টাল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৭ দিনের মধ্যে পর্যাপ্ত কাগজপত্র জমা না দিলে স্থায়ীভাবে বন্ধ করার নির্দেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস শীল ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ গোলাম মাওলার একটি টিম এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাছান মানিকসহ উপজেলা স্যানেটারী ইন্সপেক্টর সামছুল আলম রমিজ আরেকটি টিমে বিভক্ত হয়ে অভিযান পরিচালনা করেন।
এর মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস শীলের আদালত ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদি হাসান মানিকের আদালত ৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ গোলাম মাওলা জানান, হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রায় ৩৫টি হসপিটাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান বাকি রয়েছে, সে সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে পর্যায়ক্রমে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস শীল চাঁদপুর কণ্ঠকে জানান, এই অভিযান চলমান থাকবে।