দীর্ঘ ২ যুগ পর আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-৩ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী পেয়ে উজ্জ্বীবিত হয়ে উঠেন জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা। দীর্ঘদিন পর তাদের দলীয় প্রতীকের প্রার্থী পেয়ে তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

২০০১ সালের পর থেকে চাঁদপুর-৩ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত কোনো প্রার্থী পায়নি এ আসনের নেতা-কর্মীরা। এর পরের নির্বাচনগুলোতে জাতীয় পর্যায়ে আসন ভাগাভাগির কারণে জোটের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে হয় দলীয় নেতা-কর্মীদের। কিন্তু সে প্রেক্ষাপটে দলের নেতা-কর্মীরা বা তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা সেখানে যথাযথ মূল্যায়ন না পাওয়ায় তাদের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হলেও তা প্রকাশ করার কোনো সুযোগ ছিলো না। তাই এবারের নির্বাচনে দলের মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী পেয়ে স্থানীয় পর্যায়ে প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে ভালো ফলাফলের জন্যে নেতা-কর্মীরা কাজ শুরু করে দিয়েছে।

ইতিমধ্যে দফায় দফায় সভা করে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দলের প্রার্থীর পক্ষে ভালো ফলাফল নেয়ার জন্যে নানা পরিকল্পনা বা চুলছেঁড়া বিশ্লেষণ করে একের পর এক নানা কার্যক্রম গ্রহণ করে। এর প্রেক্ষিতে কাজ শুরু করেছেন বলে জানান দলের শীর্ষ থেকে তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা। ফলে তাদের সামনে এখন একটাই পথ আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে ভালো ফলাফল নেয়ার।

জানা যায়, ১৯৯০ সালে জাতীয় পার্টির সরকার তৎকালীন তত্ত্বাবাধয়ক সরকারের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তরের পর ১৯৯১ সালে তৎকালীন সময়ে চাঁদপুর সদর আসনে জাতীয় পার্টির তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী মিজানুর রহমান চৌধুরী লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন। এরপর ১৯৯৬ সালে চাঁদপুর পৌর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক সালেহ আহমদ, এরপর ২০০১ সালে আলহাজ্ব মুন্সী মুনছুর আহমেদ লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে এ আসনে নির্বাচন করেন। মূলত এরপর থেকে এ আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত কোনো প্রার্থী নির্বাচন না করায় দলের সকল স্তরের নেতা-কর্মীরা হতাশায় ভোগেন। অবশেষে এবারের নির্বাচনে প্রার্থী পেয়ে উজ্জীবিত হয়ে প্রতীকের পক্ষে কাজ করতে উঠেপড়ে লেগেছে দলের তৃণমূল থেকে জেলা পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা। ফলে এবারের নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীর ঘরে ভালো একটা ফলাফল আসবে বলে নেতা-কর্মীরা নিশ্চিত।

এদিকে চাঁদপুর-৩ আসনে জাপা মনোনীত প্রার্থী অ্যাডঃ মহসিন খান ছাত্রজীবন থেকেই এরশাদের আদর্শের রাজনীতির মধ্য দিয়ে জাতীয় পার্টির রাজনীতি শুরু করেন। তিনি পুরাণবাজার ডিগ্রি কলেজ জাতীয় ছাত্রসমাজ ও চাঁদপুর সদর উপজেলা জাতীয় ছাত্রসমাজের নেতৃত্ব দান শেষে চাঁদপুর সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সম্পাদক, সাধারণ সম্পাদক শেষে বর্তমানে জেলা জাতীয় পাটির যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন।