প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:২৪
পদ্মা পাড়ের সকালে
পদ্মা পাড়ের সকালে দেবদাস কর্মকার
সূর্য ঢেকে আছে মেঘে তবুও শিশিরিত শীতের সকাল
খাড়া পদ্মা পাড়ে ন্যাড়া বৃক্ষের নিচে আছি দাঁড়িয়ে
অন্তঃসলিল বালিয়াড়ি ভেদ করে নদী চলে গেছে দূরে
পৃথিবীর একপাশে নিরিবিলি নদী অনেক সমুদ্র পেরিয়ে এসেছে এখানে যেন,
এতোটা ঠাণ্ডা সকাল বলে জনবিরল নদীর চরা
নরোম সবুজ ঘাস বুনো লতা ঘেরা চারপাশ
কুয়াশার অভিমিশ্র খেলা বিবর্ণ জরির মতোন
সেই সব ভেদ করে পাখিরা উঠেছে মেতে
ছোট ছোট হিমে ভেজা ডানা কেমন রঙিন বর্ণে
উঠে ভেসে অনায়াসে ।একটু উষ্ণতা চাই যেন প্রেমের মতোন
কতোটা উচ্ছ্বাস সজীবতা পুরনো নিরব কথার টানে
আজও তা অপরিহার্য তৈজসপত্রের মতো
ব্যর্থ নগরীর কোলাহল অন্তঃসারশূন্য ধূলির পাঁকে
মরে আছে যেন সব
অথচ পৃথিবীর চারপাশে কতো প্রাণ কতো প্রেম
তাই ভাবি এখানে এসেছি বলে কেন নয়
ভুলে যাওয়া ফুরানোর সব গল্প কথা
গৃহকোণ সংসার নির্বোধ বৃত্তের সব বিবরণ,
বুকের ভেতরে জেগে আছে প্রশ্বাস
চেয়ে দেখি পদ্মাও ধীরে ধীরে যায় ভেসে
সবুজ পাতার ফাঁকে গাদাগাদি করে আছে সোনা পোকা
মসৃণ কুয়াশা জড়িয়ে সকালের সোনালী আলো
নদীর জল ঘেঁষে যেখানে পাখিদের অবিরাম ছুটি
তুমি ছিলে সেই পাশে
ভিজে চুলে ভিজে মেঘে
এতোক্ষণ পর
যেন কাছে এলে একান্তই অপরিহার্য হয়ে
হৃদয়ে জড়ায়ে নিবিড় করুণ রূপে ।১৭ জানুয়ারি ২০২৫, পদ্মা, রাজশাহী।