প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:২৭
দাবানল ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি
দাবানল ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি মুহাম্মাদ বায়েজিদ বোস্তামী
হায়েনার মতো নিশাচর হয়ে
লাগাতার লাগাও কোন্দল,
অবিনাশ ভাবা বৈভব দেশী
পোড়াচ্ছে তাদের দাবানল।অস্ত্রে তোমার ঝনঝনানি
প্রযুক্তির সবঅহংকার,
সৃষ্টি হয়ে স্রষ্টার মতো
দিয়ে গেছো শুধু হুংকার।স্রষ্টা শুধু দাবানল দিলো--
এতেই হলে অঙ্গার,
আর করো না মিছে ফুটানি--
দাম্ভিকতার ঝংকার।কাবা ধ্বংসে একসময় পাঠিয়েছিল
আকসুম রাজ্যের রাজা আবরাহার,
পাঠানো হস্তি বাহিনীকে ধরাশায়ী করে দিলো
রবের পাঠানো আবাবিল পাখির নিক্ষিপ্ত কঙ্কর।ইতিহাস বলে, নমরুদ যখন--
রবের বিদ্রোহে দিলো হুংকার জবান,
মাথার ভিতর দিলো যন্ত্রণা প্রভু--
করলো সবই খান খান।নমরুদ মরলো যৎসামান্য--
মশার সাঁড়াশি অভিযান,
ধ্বংস হলো নমরুদ–
আর হলো দাম্ভিকতার অবসান।ফিরাউনও ছিলো তাগুতের কাতারে,
করেছিলো সীমা লঙ্ঘন,
খোদা দাবি করতো নিজেকে নিজে--
মিশরের রাজা তখন।মুসার ডাকে দিলো না সাড়া,
করেছিলো বারবার দরজায় কাঁড়া,
মুসার দলকে করতে জব্দ
নিজেরাই হলো নীলনদে স্তব্ধ,
মৃত্যু তাহার নিদর্শন হলো--
শাস্তি হলো অসমাপ্ত।দাবানল শুধু গজবই নয়,
সে এক জলজ্ব্যান্ত আজাব,
খোদার রহমত খুঁজে নাও এখন,
বাঁচাবে তখন প্রভাব।মাটিতে লুটায়ে দুহাত উঁচায়ে
করো সবে মোনাজাত,
চোখের জলেতে নত করে শিরে
রক্ষা পেতে দাবানলের এই আজাব।করুণাময় প্রভুর নিকট তুমি–
ক্ষমা বারে বার চাও,
কপাল তোমার রবের কদমে ঠেকাতে,
মসজিদ পানে যাও।কুলিয়ারচর, কিশোরগঞ্জ।
আমার প্রতিচ্ছবি দেখি
খোরশেদুল আলমঅচেনা স্পর্শে জড়ানো তোমার ছায়া
চোখে চোখে দেখা হলেও নেই কোনো কথা।
হৃদয়ের গহীনে লুকানো বিশাল আকুলতা
তোমায় ভালোবাসি—সে কথা জানো না।চোখ না হয় তোমার
সুগভীর নীল দুটি সমুদ্র
দৃষ্টি না হয় তোমার
অজেয় নন্দন দূরদ্রষ্টা
যদি নীল জলে
আমার প্রতিচ্ছবি দেখি
তাতে কার কী ক্ষতি?