প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪:৫৬
ফরিদগঞ্জে নদী ও খাল খনন বাস্তবায়ন কমিটির সংবাদ সম্মেলন
চাঁদপুরে পাউবোর ৩৫ বছরের কার্যক্রম ও দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশসহ সাত দফা দাবি
চাঁদপুর সেচ প্রকল্প (সিআইপি)-এর অভ্যন্তরে খাল পুনঃ খননের কাজ অব্যাহত রাখা, বোরোপিট খালের অবৈধ ইজারা বাতিল এবং সকল বাঁধ-বাধা অপসারণ শীর্ষক আহূত সংবাদ সম্মেলনে চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের গত ৩৫ বছরের কার্যক্রম ও দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশসহ সাত দফা দাবি পেশ করা হয়েছে।
|আরো খবর
সোমবার (২০ জানুয়ারি ২০২৫) সকালে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবে চাঁদপুর সেচ প্রকল্প (সিআইপি)-এর অভ্যন্তরে ডাকাতিয়া নদী ও খাল খনন বাস্তবায়ন কৃষক সংগ্রাম কমিটি এই সংবাদ সম্মেলন করে।
সংগঠনের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমগীর হোসেন দুলাল তাঁর লিখিত বক্তব্যে বলেন, চাঁদপুর সেচ প্রকল্পভুক্ত লক্ষ্মীপুর জেলা বাদে শুধু চাঁদপুর জেলার চাঁদপুর সদর, হাইমচর ও ফরিদগঞ্জে মোট খালের সংখ্যা ১০৮টি। এর মধ্যে ফরিদগঞ্জ উপজেলাতেই ৭৬টি। আমাদের দাবির মুখে ও চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের ত্বরিৎ উদ্যোগ এবং ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কৃষি বিভাগের নিরলস প্রচেষ্টা, সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে এখন পর্যন্ত ১৭টি খালের পুনঃ খনন কাজ চলছে। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভাষ্যমতে সমস্ত খালই ভরাট হয়ে যাওয়ায় সেচের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এর ফলে বিগত বছরগুলোতে লাখো কৃষক পথে বসা এবং নিঃস্ব হওয়ার দায় কে নিবে।
তিনি বলেন, চাঁদপুর সেচ প্রকল্প (সিআইপি)-এর অভ্যন্তরে ৩২,০০০ হেক্টর কৃষিজমি বোরো-আমন চাষপ্রধান হওয়া সত্ত্বেও চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের অসাধু কর্মকর্তাদের কাছে অসৎ পন্থায় অর্থ উপার্জনের প্রজেক্টে পরিণত হয়েছে। এমতাবস্থায় কৃষক-কৃষি তথা সিআইপি প্রজেক্ট রক্ষায় তদন্ত কমিটি গঠন করে পাউবো চাঁদপুরের গত ৩৫ বছরের কার্যক্রম ও দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশসহ সাত দফা দাবি উত্থাপন করছি।
অন্য দাবি সমূহ হলো : সিআইপির খাল সমূহ পুনঃখনন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা, বোরোপিট খালের অবৈধ ইজারা বাতিল করে পানি চলাচলে সকল বাধা অপসারণ করা, জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ ও কৃষি ঋণ ও এনজিও ঋণ মওকুফ করা, ডাকাতিয়া নদীর অবৈধ ইজারা বাতিল ও কচুরিপানা পরিষ্কার করে মাছ-পানি-পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সার-বীজ-কীটনাশক বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিএডিসিকে কার্যকর করা এবং ফরিদগঞ্জে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিস পুনঃস্থাপন করা এবং লোকবল বাড়ানো।
এসব দাবি পূরণ করা না হলে কৃষকদের উৎপাদনের পক্ষে পাউবোর উৎপাদনবিরোধী চক্রের বিরুদ্ধে জমির মালিক, কৃষক, ইজারা, বর্গাচাষী ও ক্ষেতমজুররা লৌহদৃঢ় ঐক্য গড়ে তুলে বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।
প্রেসক্লাব সভাপতি মামুনুর রশিদ পাঠানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ফরহাদের পরিচালনায় সংবাদ সম্মেলনে সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মমতাজ উদ্দিন সরকার, আলী আহমেদ শেখ, সদস্য রহিমা আক্তার কলি, আব্দুল লতিফ মিজি, আব্দুল কাদেরসহ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।