প্রকাশ : ৩১ মে ২০২৫, ২২:৪৭
ঘূর্ণিঝড় শক্তির প্রভাব
অতিবৃষ্টির পানিতে মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা

ঘূর্ণিঝড় শক্তির প্রভাবে অতিবৃষ্টির পানি জমে মতলব উত্তরে মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকা, অপরিকল্পিতভাবে পানি নিষ্কাশন খাল নির্মাণ করা ও সংস্কার না করার কারণে সহজে পানি নামতে পারছে না। ফলে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে কৃষকের ফসলহানির আশঙ্কা আরো বাড়িয়ে দেয়।
|আরো খবর
সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, অতিবৃষ্টির পানি জমে উপজেলার মিলারচর, মাথাভাঙ্গা, পাঁচআনী, হানিরপাড়, জোড়খালী, আদুরভিটি, দেওয়ানজীকান্দি, নেকরাজার বিল, ঘনিয়ারপাড়, ঝিনাইয়া, নিশ্চিতপুর, সুজাতপুর, গজরা, নয়াকান্দি, নেদামদী, টরকী এবং রায়েরকান্দি বিলসহ নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। অধিকাংশ এলাকায় জমির পানি বের হওয়ার ব্যবস্থা না থাকায় ফসল ডুবে গেছে এবং গবাদি পশুর খড় পানির নিচে থাকায় গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিতে পারে।
প্রকল্পবাসী বলছেন, ময়লা-আবর্জনায় ও জায়গা দখল হয়ে যাওয়ায় মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও সরকারি খালগুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছে ও গেছে। খালগুলো দিয়ে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন হতে পারছে না। খালগুলো দিয়ে জমির বৃষ্টির পানি সরতে না পারায় প্রতিবছরই কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় শক্তির প্রভাবে মতলব উত্তরে এ পর্যন্ত ৮ হেক্টর আউশ ধানের বীজতলা ও ৭০ হেক্টর জমির বিভিন্ন শাকসবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হানিরপাড় গ্রামের কৃষক লাল মিয়া বলেন, বৃষ্টির পানিতে ফসলের জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। হানিরপাড় থেকে ছেংগারচর বাজার (ডি-৩ খাল) কচুরিপানা পরিষ্কার শুরু হলেও পানি প্রবাহে বাধা ছেংগারচর (মাংস বাজার) এলাকা এখনও পরিষ্কার করা হয়নি। ছেংগারচর (মাংস বাজার) এলাকা পরিষ্কার না করায় এ খাল দিয়ে পানি সরবে না। হানিরপাড়সহ এলাকার কয়েকটি বিল বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে থাকবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফয়সাল মোহাম্মদ আলী বলেন, ঘূর্ণিঝড় শক্তির প্রভাবে অতিবৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। জমির বৃষ্টির পানি সরতে না পারায় বীজতলা ও সবজি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমরা মাঠ পর্যায়ে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য সংগ্রহ করছি।কয়েকদিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট প্রস্তুত হবে। ফসলি মাঠ থেকে পানি যদি না কমে এবং বৃষ্টি যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে ফসল উৎপাদন কমবে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা কুলসুম মনি বলেন, আমরা সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।