মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ১৭ আগস্ট ২০২১, ০০:০০

জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক

এই দেশ মানচিত্র পতাকা জাতির পিতার সৃষ্টি

এই দেশ মানচিত্র পতাকা জাতির পিতার সৃষ্টি
চাঁদপুর কণ্ঠ রিপোর্ট ॥

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ব্যাপক কর্মসূচি উদ্যাপিত হয়েছে। জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের ১৮ সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যার সেই ভয়াল ১৫ আগস্ট ও তার পরবর্তী প্রেক্ষাপট এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে আজকের বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া বিষয়ে ভার্চুয়ালি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১৫ আগস্ট সকালে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। এ সময় জেলা প্রশাসক তাঁর বক্তব্যে বলেন, এই দেশ, এই মানচিত্র, এই পতাকা জাতির পিতার সৃষ্টি। মাত্র ১১ মাসের মধ্যে তিনি একটা সংবিধান দিয়েছেন, যা সারাবিশে^ বিরল। খুব অল্প সময়ের মধ্যে তিনি এই স্বাধীন দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করেন। আমাদের দেশ ও জাতিসত্ত্বাকে, দেশকে সারা বিশ্বের কাছে উপস্থাপন করার জন্যে তিনি জাতীয় মাছ, ফুল, ফল, জাতীয় পতাকা এবং জাতীয় সংগীতসহ নানা রাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিষয়গুলো খুব দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, স্বাধীনতার পর একটা বিধ্বস্ত দেশকে টেনে দাঁড় করাতে ও সোনার বাংলা গড়ার জন্যে তিনি নিরলস কাজ করে গেছেন। এই মহান ব্যক্তিত্বকে কুচক্রীরা হত্যা করবে এটি ভাবতেও খারাপ লাগে। ঘাতকরা শুধু জাতির পিতাকেই হত্যা করেনি, বঙ্গমাতাসহ তাঁর পরিবারের ১৮ জনকে সেদিন হত্যা করেছে।

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তাঁর স্বাধীন দেশ বাংলাদেশে পা রাখার আগেই স্বাধীনতার অগ্রযাত্রায় পরম মিত্র দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে বলেছেন, দ্রুত বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনী সরিয়ে নিয়ে যেতে এবং তা-ই হয়েছে। তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী চক্র তথা যারা বাংলাদেশ চায়নি, যারা পাকিস্তানীদের দালালি করেছে, তাদের জাতির পিতা ক্ষমা করেন নি। জাতির পিতা তাঁর জীবদ্দশাতেই ১৮৭ রাষ্ট্রের স্বীকৃতি লাভ করেছিলেন। জাতিসংঘ, ওআইসিহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্যপদ লাভ করেন। তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন গঠন করেন, ত্রাণ তহবিল করেন। কিন্তু ঘাতকরা জাতির পিতাকে বাঁচতে দিলো না। দেশি- বিদেশি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র করে তাঁকে মেরে ফেলা হলো।

জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, জাতির পিতার কন্যার হাত ধরে আজ এগিয়ে চলছে দেশ। আমরা আজ পদ্মাসেতু দেখছি, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে। দেশে এমন অসংখ্য বৃহৎ উন্নয়ন হয়েছে। আমাদের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যথেষ্ট সুবিধা তিনি দিয়েছেন এবং তা অব্যাহত রেখেছেন। মহামারি করোনার এই বিপর্যয় মুহূর্তে এবং এর আগে তিনি দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ও এটিকে উপরে তুলতে যেমন কাজ করে সফল হয়েছেন, তেমনি এই মহামারিতেও মানুষের জীবন রক্ষার্থে তিনি অনেক প্রশংসিত কাজ করে চলেছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করেই তিনি দেশ পরিচালনা করে যাচ্ছেন। তাই জাতির পিতার সমৃদ্ধ সোনার বাংলা আমাদের গড়তে হলে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।

সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এআরএম জাহিদ হাসানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ, বিপিএম (বার), জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম দুলাল পাটওয়ারী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ ওয়াদুদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শানজিদা শাহনাজ, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক অসিত বরণ দাশ, চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মাসুদুর রহমান, পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার, ডিডি এনএসআই শাহ আরমান আহমেদ, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী প্রমুখ।

পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ তাঁর বক্তব্যে বলেন, এ দেশের কোনো মানুষ বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করবে তা বঙ্গবন্ধু কখনো বিশ্বাস করতে পারেন নি। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সে দৃঢ় বিশ্বাসে আঘাত হেনে এদেশের ঘাতকরাই তাঁকে হত্যা করলো। তবে এর সাথে দেশি-বিদেশী চক্রান্তও ছিলো।

পুলিশ সুপার বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীতা যারা করেছিলো, ১৫ আগস্টের মতো রক্তাক্ত দিনটি যারা জন্ম দিয়েছে, সেই মানুষগুলো এখনো আমাদের সাথেই আছে। তার প্রমাণ মিলে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি, ২১ আগস্টসহ কতোগুলো বিভীষিকাময় দিনকে সামনে আনলে।

তিনি বলেন, ১৫ আগস্টের ঘাতকরা এখনো অনেকে পালিয়ে। তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে প্রাপ্ত দ- কার্যকর করতে হবে। সরকার এ প্রক্রিয়ায় কাজ করছে।

সভায় বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা সংযোগ ছিলেন। সভায় বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানানো হয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়