চাঁদপুর সদর উপজেলার নিজ গাছতলা কাদির গাজীর মার্কেটের সামনে সংঘটিত মিনিবাস-সিএনজি অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে ৪ জন হয়েছে। শুক্রবার (৩১ মার্চ) বেলা পৌনে ২টার দিকে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে। আরো যে দুজন মারা গেছেন তারা হচ্ছেন-সিএনজি অটোরিকশা চালক আলাউদ্দিন (৩৫) ও যাত্রী কালু বেপারী (৭০)

এ ঘটনায় প্রথমে মামুন হোসেন (৩০) নামে একজনের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত হয় শিশুসহ আরো ৬ জন। তারা হচ্ছেন সিএনজির চালক ও যাত্রী।

আহতদের মধ্যে রুবেল হোসেন (২৫) নামে অপর যাত্রী শুক্রবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর আগে সিএনজি অটোরিকশা চালক আলাউদ্দিন (৩৫)কে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় নেয়ার পথে তারও মৃত্যু হয় এবং গতকাল শনিবার (১ এপ্রিল) সকাল ৮টায় অপর যাত্রী কালু বেপারী (৭০) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।

এসব মৃত্যুর বিষয় নিশ্চত করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, চাঁদপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহজাহান ও সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের নিহত কালু বেপারীর ভাতিজা সাইফুল ইসলাম।

এছাড়া একই ঘটনায় লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার চরকাজিয়া গ্রামের মীর মাঝির ছেলে আবদুল মাজেদ মাঝি (৬০), তার স্ত্রী পেয়ারা বেগম (৫০) ও তাদের সঙ্গে থাকা ৪ বছর বয়সী শিশু চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) আনন্দ পরিবহনের একটি মিনিবাস চাঁদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে রায়পুরের উদ্দেশ্যে এবং সিএনজি চালিত অটোরিকশা রায়পুর থেকে চাঁদপুরে প্রবেশ করার সময় নিজ গাছতলা কাদির গাজী মার্কেটের সামনে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলে ১জন নিহত ও ৬ জন আহত হন। এদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা ছিলো অত্যন্ত গুরুতর।

পরে কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে চাঁদপুর জেলা হাসপাতালে একজন এবং চালকসহ সিএনজির যাত্রী অপর ২ জন ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে মারা যান। এ দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪ জন নিহত হন। নিহত একজনের বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নে এবং চালকসহ নিহত সিএনজির ৩ যাত্রীর বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলা সদর ও রায়পুরে।

দুর্ঘটনার পর পর স্থানীয় লোকজন ঘাতক বাসটিকে আটক করে। তবে বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়। বিক্ষুব্ধ জনতা বাসের সামনের গ্লাস ভাংচুর করে। বাস ও সিএনজি চাঁদপুর সদর মডেল থানা হেফাজতে আছে।

এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান চাঁদপুর সদর মডেল থানার এসআই আক্রাম।