প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০০
ধানুয়া ছালেহিয়া ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, জমিয়াতুল মোদার্রেছীন ফরিদগঞ্জ শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও চাঁদপুর জেলা শাখার সাবেক য্গ্মু সম্পাদক, চান্দ্রা দরবার শরীফের সিনিয়র নায়েবে আমির, নয়াহাটবাজার ব্যবসায়ী কমিটির সাবেক সভাপতি, মনোহর খান বাড়ি জামে মসজিদের সাবেক খতিব, ফরিদগঞ্জ লেখক ফোরামের সাবেক সভাপতি কবি দন্তন্য ইসলামের পিতা শরীফ মোঃ তাজাম্মল হোসেন আর নেই। ৪ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে দশটায় ঢাকার শমরিতা হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহে-----------রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৬৭ বছর।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। তবে বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। তাঁর বড় ছেলে নজরুল ইসলামের মাধ্যমে জানা যায়, গত ২৪ আগস্ট তাঁর অবস্থা খারাপ দেখে স্থানীয় ডায়াবেটিক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অবস্থার আরো অবনতি হলে ২৫ আগস্ট ঢাকার এসপিআরসি এন্ড নিউরোলজি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখানে তিনি প্রফেসর কাজী দ্বীন মোহাম্মদের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। এই চিকিৎসকের পরামর্শে গত ২৭ আগস্ট শমরিতা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
আলহাজ্ব শরীফ মোঃ তাজাম্মল হোসেন মজুমদারের বর্ণাঢ্য জীবনে তিনি অনেক প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি টানা দুই মেয়াদে ১০ বছর জমিয়াতুল মোদার্রেছীন ফরিদগঞ্জ শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। শিক্ষকতার পাশাপশি তিনি ব্যবসা করতেন। নয়াহাট বাজারের একজন পুরানো ব্যবসায়ী ছিলেন তিনি। পুস্তক ও স্টেশনারী ব্যবসার মাধ্যমে তার ব্যবসায়ী জীবন শুরু। সময়ের পালাবদলে সেই শরীফ স্টোর আইটেম বদল হয়ে এখনো সগৌরবে টিকে আছে। ফরিদগঞ্জ লেখক ফোরামের সাবেক সভাপতি, সাংবাদিক ও কবি নজরুল ইসলাম তাঁর বড় ছেলে। তাঁর তৃতীয় ছেলে জাহিদুল ইসলাম একজন উদীয়মান তরুণ ধর্মীয় বক্তা। মৃত্যুকালে তিনি ৪ ছেলে ও ১ মেয়ে, স্ত্রী, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে যান। আজ ৫ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল ৯টায় চির্কা চাঁদপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে মরহুমের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
আলহাজ্ব শরীফ মোঃ তাজাম্মল হোসেন মজুমদারের মৃত্যুতে ফরিদগঞ্জ লেখক ফোরাম পরিবার গভীরভাবে শোকাহত। এক শোকবার্তায় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন। সেই সাথে তার পরিবারের সবাইকে এই শোক কাটিয়ে ওঠার এবং ধৈর্য ধরার তৌফিক দান করার প্রার্থনা করেন।