প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০০
লাকসাম-চাঁদপুর রেলপথে ডেম্যু ট্রেন সকালে যাতায়াত না করায় বাসে করে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে কলেজ পড়ুয়া অনেক শিক্ষার্থী চাঁদপুর জেলা সদরস্থ কলেজে যেতে পারছে না। শাহরাস্তির কালিয়াপাড়া থেকে বোগদাদ বাসে চাঁদপুর যাতায়াতে ভাড়া ১৬০ টাকা। প্রতিজন ছাত্র-ছাত্রী আসা-যাওয়া ও সামান্য খাওয়া বাবদ প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০০ টাকা গুণতে হয়। অনেক শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের পক্ষে এই টাকার ব্যবস্থা করে দেয়া অসম্ভব। যার কারণে শিক্ষার্থীরা কলেজে যাওয়া এক রকম বন্ধ করে দিয়েছে। গ্রামের নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েরা একেবারেই কলেজ যাতায়াত ছেড়ে দিয়েছে বলা চলে। শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ি চাঁদপুরে। শিক্ষায় চাঁদপুর জেলার একটা ঐতিহ্য ছিলো। বর্তমানে শিক্ষার্থীদের উচ্চ ভাড়ার টাকা জোগাড় করে কলেজে যেতে না পারায় শিক্ষার মান একেবারেই কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকার ডেম্যু ট্রেন চালুর বিষয়টি বিবেচনায় আনলে শিক্ষার্থীরা কলেজে নিয়মিত যাতায়াত করতে পারবে বলে অভিভাবকরা মনে করেন।
অন্যদিকে লাকসাম-চাঁদপুর রেলপথের স্টেশনগুলোর অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। অথচ সারাদিনে ভোর ৫টায় চট্টগ্রাম অভিমুখী মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেন, পরবর্তীতে রাত ৯টায় চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুর অভিমুখী মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেন ছাড়া নিয়মিত কোনো ট্রেন নেই। বেলা ১১টায় সাগরিকা এক্সপ্রেস ট্রেন লাকসাম থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যায়। বেলা ২:১০ মিনিটে ওই ট্রেনটি চাঁদপুর থেকে লাকসাম হয়ে চট্টগ্রাম অভিমুখে রওনা হয়। এছাড়া মধ্যবর্তী কোনো সময়ে এই কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীর সুবিধার্থে কোনো ট্রেন নেই। এই দিকে স্টেশনগুলো ফাঁকা থাকায় বখাটেদের উপস্থিতি দেখা যায়। এই বিষয়টি নিরসনকল্পে রেলওয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন। বিষয়টি অতি জরুরিভিত্তিতে বিবেচনার জন্যে শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের শিক্ষামন্ত্রীর প্রতি জোর আবেদন রয়েছে।