মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ১৭ আগস্ট ২০২২, ০০:০০

শাহরাস্তিতে শোক দিবসের পৃথক কর্মসূচি

দলের পদ-পদবী নিয়ে কিছু বেঈমান-মুনাফেক পঁচাত্তরের ন্যায় ষড়যন্ত্র করছে : মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি

দলের পদ-পদবী নিয়ে কিছু বেঈমান-মুনাফেক পঁচাত্তরের ন্যায় ষড়যন্ত্র করছে  : মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি
মোঃ মঈনুল ইসলাম কাজল ॥

মহান মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টর কমান্ডার, চাঁদপুর-৫ (শাহরাস্তি-হাজীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম বলেছেন, যে কোন যুদ্ধের পেছনে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সংগ্রামের ইতিহাস থাকে। একটি জাতিকে ধীরে ধীরে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ মুক্তিযুদ্ধের জন্য তৈরি করে, অনুপ্রাণিত করে। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তেমনি করে তাঁর জীবনের একটা বিশাল অংশ এই বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার জন্যে, মুক্তির জন্যে প্রস্তুত করেছিলেন। তিনি একটা পর্যায়ে এসে বলেছিলেন, আমি যদি হুকুম দেবার না-ও পারি, তোমাদের প্রতি আমার আহ্বান, যার যা আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে প্রস্তুত হতে হবে। বাঙালি অনুপ্রাণিত হয়েছিলো যুদ্ধের জন্যে, উজ্জীবিত হয়েছিলো বুকের তাজা রক্ত ঢেলে বাংলার সবুজ প্রান্তর রক্তাক্ত করে পাকিস্তানি বাহিনীকে পরাজিত করতে। ৯ মাসের যুদ্ধে আমরা বিজয়ী হয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানিরা গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়েছিলো। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি ৭২ সালের ১০ জানুয়ারি ফিরে এলেন। কিন্তু পরাজিত শত্রুরা এই পরাজয় মেনে নেয় নি। তারা গোপন চক্রান্ত করছিলো প্রতিশোধ নেয়ার জন্যে এবং তারা ছক তৈরি করেছিলো বঙ্গবন্ধুকে অপ্রিয় করার জন্যে। তারা ক্ষেত্র তৈরি করছিলো তাঁর দলকে বিতর্কিত করার জন্যে। ৭২ থেকে ৭৫ পর্যন্ত তাদের সে প্রচেষ্টা চলেছিলো। তাঁর বিরুদ্ধে এমন অপ-প্রচার চালালো যে গ্রামে-গঞ্জে একটা নেতিবাচক প্রভাব তৈরি হয়েছে। যখন তারা বুঝলো ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে, তারপর দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তে তাদের চূড়ান্ত চক্রান্ত কার্যকর করে ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। সেদিন বঙ্গবন্ধু, তাঁর পরিবারের সদস্য ও আর অনেককে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। বঙ্গবন্ধুকে যেভাবে অজনপ্রিয় করার জন্যে তাঁর বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রপাগান্ডা চালানো হয়েছে, ঠিক সেভাবে এখনো একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির ষড়যন্ত্র চলছে। আজকে এসব সরাসরি বিরোধীদল করছে না। দলের ভেতরে থেকে দলের পদ-পদবি নিয়ে কিছু বেঈমান-মুনাফেক এসব ষড়যন্ত্র করছে। বিরোধীদল সরাসরি সামনে না এসে আমাদের কিছু লোককে টাকা পয়সা দিয়ে হাত করে এদের দিয়ে সোস্যাল মিডিয়া ও নানাভাবে প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, আমাদের দলের ওইসব লোক আজ পর্যন্ত আমাদের বিরুদ্ধে বলা ছাড়া অন্য দলের কারো বিরুদ্ধে একটা শব্দ উচ্চারণ করেছে? তাহলে এরা কারা? আওয়ামী লীগের পদ ধরে বসে কাজ করছে বিএনপি-জামাতের পক্ষে। ৮/৯ বছর ধরে তারা এ ষড়যন্ত্র করছে। আপনারা ৭৫ কে মনে রাখবেন। ঠিক যেমনি করে জাতির পিতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিলো, আজকে তারা আমার বিরুদ্ধে, আপনার বিরুদ্ধে নয়, পুরা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। জাতির পিতার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অপ্রিয় করা, বিতর্কিত করাই এদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়ে বিরোধী গ্রুপ আওয়ামী লীগের একটা অংশকে ব্যবহার করছে।

১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শাহরাস্তি উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের পৃথক কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেজর রফিকুল ইসলাম উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ১৫ আগস্ট সোমবার বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ন রশিদ। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মাকসুদ আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর মেয়র হাজী আব্দুল লতিফ, কচুয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আবুল কালাম চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আমজাদ হোসেন, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আবদুল মান্নান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ তোফায়েল আহমেদ ইরান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কামরুন্নাহার কাজল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আঃ মান্নান বিএসসি প্রমুখ।

বেলা সাড়ে ১২টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ মোস্তফা কামাল মজুমদার। দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জেড এম আনোয়ারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক হাজী আব্দুল লতিফ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ তোফায়েল আহমেদ ইরান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কামরুন্নাহার কাজল, উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডঃ ইলিয়াস মিন্টু, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুন, মোঃ আঃ মান্নান বেপারি প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়