সোমবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ২৯ জুলাই ২০২২, ০০:০০

ভাঙ্গা কালভার্টে জনদুর্ভোগ
ফরিদগঞ্জ ব্যুরো ॥

খালের পানির স্বাভাবিক চলাচলের পাশাপাশি জনসাধারণের চলাচলের জন্যে ৩৭ বছর পূর্বে সড়কের ওপর কালভার্ট নির্মিত হয়। কিন্তু সেটি রক্ষণাবেক্ষণে আর কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় ভেঙ্গে পড়ে জনদুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। মাসের পর মাস ভাঙ্গা অবস্থায় কালভার্টটি পড়ে থাকলেও দেখার কেউ নেই, ফলে ঘটছে দুর্ঘটনা। ছোট্ট একটি কালভার্টের জন্যে এই দুরবস্থা ফরিদগঞ্জ উপজেলার সাহাপুরসহ আশপাশের কয়েক গ্রামের বাসিন্দাদের।

জানা যায়, পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের সাহাপুর থেকে গ্রামীণ বাজারের প্রধান সড়ক এটি। গোলা বাড়ির পাশে খালের ওপর নির্মিত কালভার্টটির ঢালাই নেই, আছে শুধু রড। যেখান দিয়ে প্রতিদিন স্থানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং নানা শ্রেণি-পেশার কয়েক হাজার লোক যাতায়াত করে। কালভার্ট পারাপারে প্রতিনিয়তই তারা বিপদে পড়ছেন। বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রোগী, বয়স্ক লোক এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা।

স্থানীয়রা জানায়, চলতি বছরের মার্চ মাসে সিমেন্টের বস্তা নিয়ে একটি ট্রাক কালভার্টের ওপর উঠলে কালভার্টটির কিছু অংশ ভেঙ্গে যায়। পরবর্তীতে আর সংস্কার না করার কারণে ভেঙ্গে যাওয়া স্থানে গর্তের পরিধি বাড়ছে। ফলে প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনা ঘটেই চলছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আলমগীর পাটোয়ারী জানান, প্রায় ৩৭ বছর পূর্বে খালটির ওপর কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়। এটি অনেক পুরানো হয়ে যাওয়াতে গত ৪ মাস আগে থেকে এর ঢালাই ঝরে পড়া শুরু হয়। যার ফলে আজ এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

আব্দুল মান্নান শেখ জানান, এলাকার কেউ অসুস্থ হলে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে আমাদের অনেক বিড়ম্বনা পোহাতে হয়। রাস্তা এবং কালভার্ট খারাপ থাকায় এখানে কোনো গাড়ি আসতে পারে না। রোগীকে কাঁধে করে নিতে হয়।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে ২০২০ সালে একটি আবেদন ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য এমরান হোসেন বলেন, দিনে ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটলেও রাতে পরিণত হয় পথচারীদের মরণফাঁদে। কালভার্টটির ওপর দিয়ে আপাতত কাঠ দিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করেছি। আমরা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বরাবর দ্রুত নতুন করে কালভার্ট করার জন্যে আবেদন করেছি।

পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান শওকত বিএসসি জানান, আমরা বিষয়টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।

দুর্ঘটনা রোধে স্থানীয় ইউপি সদস্য কাঠের টুকরা দিয়ে আপাতত লোকজনকে চলাচলের ব্যবস্থা করে দিলেও এভাবে কতদিন চলবে প্রশ্ন জনগণের।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়