প্রকাশ : ২৯ জুলাই ২০২২, ০০:০০
বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের নামে ফেরারি আসামী হাসান খান, জাল সনদধারী, মামলাবাজ, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্টকারী জাহাঙ্গীর হোসেন ও এদের মদদদাতাদের অশুভ তৎপরতা এবং মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ফরক্কাবাদ এলাকার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।
২৮ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজ ও ফরক্কাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কে ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধনে ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজ, ফরক্কাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়, ফরক্কাবাদ ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা, বাজার ব্যবসায়ী ও বালিয়া ইউনিয়নবাসীর ব্যানারে উল্লেখিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দসহ ফরক্কাবাদ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল হক মজুমদার, ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) দিলীপ চন্দ্র দাস ও ফরক্কাবাদ বাজার কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম মিজি।
ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক হাফিজুর রহমান ও মহিন উদ্দিনের যৌথ পরিচালনায় বালিয়া ইউনিয়নবাসীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন রুহুল আমিন মিজি। আরো বক্তব্য রাখেন ফরক্কাবাদ ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ফখরুল ইসলাম, ফরক্কাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল হান্নান মিজি, কলেজ শিক্ষকদের মধ্যে সহকারী অধ্যাপক মোঃ সালাহ উদ্দিন, শেখ খাদিজা বেগম, মোঃ রেজাউল করিম মিঠু ও এবিএম শাহআলম। শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন কলেজের মানবিক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী নীলা আক্তার।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শিক্ষকদের কাজ হচ্ছে শিক্ষার্থীদের মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা। কিন্তু আজ আমাদেরকে পাঠদান রেখে মানববন্ধন করতে রাস্তায় নামতে হয়েছে। যা খুবই লজ্জাজনক। এর কারণ হচ্ছে এই এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ভালভাবে পরিচালিত হোক একটি সংঘবদ্ধ চক্র তা চায় না। তারা কলেজ, স্কুল ও শিক্ষানুরাগীদের বিরুদ্ধে সনদ ও টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে মামলা করেছে। এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো রক্ষায় আমরা এইসব ষড়যন্ত্রকারীর দৃষ্টান্তমূলক বিচার এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার দাবি করছি।
এদিকে হাসান খানের বক্তব্য নেয়ার জন্য তাকে খোঁজ করা হলে এ নামে কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি এলাকায়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় ক’জন জানান, তারা ড. মোঃ হাসান খানকে চিনেন, যিনি ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি অসুস্থ ছিলেন। ড. মোঃ হাসান খান যে মামলা করেছেন সেই মামলাটি চলমান রয়েছে। শিক্ষকদের বিরুদ্ধে তিনি কোনো মামলা করেন নি। ফরাক্কাবাদ হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে, সেটি সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিভাগীয় মামলা।