প্রকাশ : ২৩ জুলাই ২০২২, ০০:০০
হাজীগঞ্জে স্বামীর স্বীকৃতি পেতে স্ত্রী অনশন শুরু করেছে। শুক্রবার দুপুর থেকে স্বামীর বাড়িতে অনশন শুরু করে স্ত্রী একাদশ প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফাতেমা। অনশনের আগে আত্মহত্যারও চেষ্টা চালায় ওই শিক্ষার্থী। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত ফাতেমা অনশনে আছে।
এদিকে স্বামী রাকিবের বাড়িতে স্ত্রী ফাতেমার অবস্থান দেখে রাকিব ও তার বাবা তাহের চৌধুরী বাড়ি থেকে লাপাত্তা হয়ে যান।
জানা যায়, হাজীগঞ্জ উপজেলার ১০নং গর্ন্ধ্যবপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের কাশিমপুর গ্রামের তাহের চৌধুরীর মেজো ছেলে মোঃ রাকিব চৌধুরী একই ইউনিয়নের হোটনী গ্রামের এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফাতেমাকে বিয়ে করে। নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে বিয়েটি সম্পন্ন হয়। বিয়েতে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা দেনমোহর ধার্য করা হয়। ফাতেমা দেশগাঁও ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। সে হাজীগঞ্জ উপজেলার হোটনী গ্রামের মৃত আব্দুল সাত্তারের মেয়ে। রাকিব একই কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্র। সে দেশগাঁও জয়নাল আবেদিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক তাহের চৌধুরীর মেজো ছেলে।
ফাতেমা জানান, চলতি মাসের ১৪ তারিখ চাঁদপুর নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে রাকিব আমাকে বিয়ে করে। ১৫ তারিখ হাজীগঞ্জ বাজারের আল মদিনা হোটেলে বসে তার বাবা-মা আমার সাথে কথা বলেন। তখন তারা আমাকে তাদের ছেলে রাকিবের স্ত্রী হিসেবে বরণ করে নিবে বলে আশ্বস্ত করেন। কিন্তু দুদিন পরেই রাকিবের পরিবার আমাকে বিবাহ বিচ্ছেদের নোটিস পাঠায়। আমি নানাভাবে চেষ্টা করেও তাদের কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি। কোনো উপায় না পেয়ে আমি বুধবার আত্মহত্যার চেষ্টা করি। পরে আমার পরিবারের লোকজন আমাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করায়। আজ আমি আমার স্বামী রাকিবকে খুঁজতে তার বাড়িতে আসি। আমি রাকিবকে ছাড়া এখান থেকে যাবো না।
রাকিবের মা শিরিন চৌধুরী জানান, আমার ছেলে নাবালক। রাকিবের সাথে আজ দুদিন আমাদের যোগাযোগ নেই। আমার স্বামী চিকিৎসার জন্যে ঢাকায় আছেন।
ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন বাচ্চু জানান, মেয়ের পক্ষ আমার কাছে এসেছিলো। আমি থানায় যোগাযোগ করলে, থানা থেকে পুলিশ এসে দুপক্ষকে সময় বেঁধে দিয়েছে। আমরাও তাদের দুদিন সময় বেঁধে দিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাশেদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। আমরা খোঁজখবর রাখছি। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জোবাইর সৈয়দ জানান, অনশনের কথা শুনে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। দুপক্ষের দাবিতে তাদেরকে কিছু সময় দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সমঝোতা না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।