সোমবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ২৩ জুলাই ২০২২, ০০:০০

চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথে আবারো সুড়ঙ্গ করে ড্রেজার পাইপ স্থাপন
মিজানুর রহমান ॥

প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়াই অসাধু বালু ও পুকুর-জলাশয় ভরাট ব্যবসায়ীরা চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথ সুড়ঙ্গ করে ড্রেজার পাইপ বসিয়ে গত ক’বছর বালুর ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথ। রেলওয়ের পক্ষ থেকে মামলা হওয়ার পরও পাইপগুলো অপসারণ করছেন না বালু ব্যবসায়ীরা। বরং প্রকাশ্যে শহর এবং গ্রাম এলাকার জলাশয় ও ফসলি জমি ভরাট করেই চলছে।

অনুমতি ছাড়া জমি ও জলাশয় ভরাট না করার বিধান থাকলেও ভূমি অফিস থেকে নেয়া হচ্ছে না কোনো আইনী ব্যবস্থা। যার ফলে এখন অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে চাঁদপুর সদর।

চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথ ঘুরে দেখা গেছে, চাঁদপুর শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক রেলপথ সুড়ঙ্গ, সদর উপজেলার মৈশাদী ইউনিয়নের মির্জাপুর এলাকা এবং শাহতলী হামানকর্দ্দি এলাকায় ব্রিজের নিচে ৩টি ড্রেজার পাইপ বসানো রয়েছে। বঙ্গবন্ধু সড়ক গুচ্ছগ্রাম সংলগ্ন রেলপথে নিচ দিয়ে সুড়ঙ্গ পাইপটি গত ৪ বছরের অধিক সময় ধরে বসানো রয়েছে। এটি একবারও উচ্ছেদ হয়নি। সদরের মৈশাদী ও শাহতলীতে একই অবস্থা।

চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের এসএসএই (পথ) উপ-সহকারী প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চাঁদপুর সদরের তিন ড্রেজার ও বালু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে রেলওয়ে (জিআরপি) থানায় মামলা হয়েছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে অভিযান কিংবা বাস্তবে কোনো ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত নেয়নি রেলওয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। এর আগে চাঁদপুর সদরের মধুরোড স্টেশনের পশ্চিম পাশে ব্রিজের নিচের ড্রেজার পাইপ লাইনটি উচ্ছেদ করে পাইপগুলো জব্দ করে নিয়ে যায় লাকসাম থেকে আসা রেলওয়ের এ পথের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাবৃন্দ।

সদর উপজেলার শাহতলী, মৈশাদী ও শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে আলাপ করলে তারা জানান, এলাকার লোকজনই ড্রেজার ও বালু ব্যবসার সাথে জড়িত। তবে তাদের অনেকেরই রাজনৈতিক পরিচয় আছে। যে কারণে কেউ কোনো ধরনের প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। মৈশাদী ইউনিয়নে ড্রেজার পাইপ দিয়ে গত ক’বছরে কমপক্ষে ২০টি জলাশয় ও ফসলি জমি ভরাট হয়েছে। মহল্লার সড়কে প্রবেশ করলেই ড্রেজার পাইপ দেখা যায়।

চাঁদপুর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী বলেন, জমির শ্রেণী পরিবর্তন না করে জলাশয় ও ফসলি জমি ভরাট করলে আমরা আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করি। এখন যদি কেউ ভরাট করে থাকে আমাদের কাছে তথ্য কিংবা অভিযোগ আসলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

চাঁদপুর রেলওয়ে (জিআরপি) থানার অফিসার ইনচার্জ মুরাদ উল্যাহ বাহার জানান, আমি এ থানায় এক বছর কাজ করছি। ড্রেজার ও বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আমি থাকা অবস্থায় মামলা হয়নি। আগে হতে পারে, আমার জানা নেই। তবে আমি আসার পরে শাহতলীর পরে একটি উচ্ছেদ করেছি। এখন যারা ড্রেজার বসিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে রেলের সংশ্লিষ্টরা মামলা করলে আমি ব্যবস্থা নিবো।

চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের দায়িত্বে থাকা কুমিল্লার এসএসএই (পথ) উপ-সহকারী প্রকৌশলী লিয়াকত আলী মজুমদার বলেন, রেলপথের চাঁদপুর অংশে ৪টি ড্রেজার পাইপ ছিলো। আমি যখন লাকসাম ছিলাম তখন মধুরোড স্টেশন এলাকার একটি ড্রেজার পাইপ অভিযান করে উচ্ছেদ করি এবং পাইপগুলো জব্দ করে নিয়ে যাই। এখন আরো ৩টি আছে। এগুলোর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এখন এদের বিরুদ্ধ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়