প্রকাশ : ২৩ জুলাই ২০২২, ০০:০০
বাবুই গোত্রের অন্তর্গত একদল প্যাসারাইন পাখি। খুব সুন্দর বলে এরা তাঁতিপাখি নামেও পরিচিত। এদের বাসার গঠন বেশ জটিল আর আকৃতি খুব সুন্দর। কয়েক প্রকৃতির বাবুই একাধিক কক্ষবিশিষ্ট বাসা তৈরি করতে পারে। বাবুই পাখিকে শৈল্পিক ইঞ্জিনিয়ার বলা হয়। নিজের ঘর সাজাতে তাদের কোনো জুড়ি নেই। এরা বেশ দলবদ্ধ পাখি, তারা কলোনী করে জীবনযাপন করতে অভ্যস্ত। বেশির ভাগ বাবুই প্রজাতির পুরুষ পাখি বেশ উজ্জ্বল রঙের হয়। কিছু প্রজাতি তাদের প্রজনন মৌসুমে বর্ণের ভিন্নতা প্রদর্শন করে। বাংলাদেশে তিন ধরনের বাবুই পাখি দেখা যায়। দেশি বাবুই পাখির বাসা উল্টানো, দেখতে কলোনীর মতো। বাসা বানানোর জন্যে বাবুই খুব পরিশ্রম করে ঠোঁট দিয়ে ঘাসের আস্তরণ ছাড়ায়। যত্ন করে পেট দিয়ে ঘষে গোল অবয়ব মসৃণ করে। শুরুতে দুটি নিম্নমুখী গর্ত থাকে, পরে একাধিক খোঁপ তৈরি করে ডিম রাখার জায়গাও তৈরি করে এতে। অন্য দিকটি লম্বা করে প্রবেশ ও প্রস্থান পথ তৈরি করে। কথিত আছে, বাবুই পাখি চালাক। তারা রাতে আলো জ্বালাতে জোনাকি পোকা ধরে এনে বাসায় গুঁজে রাখে। বাবুই পাখি সখ করে তালপাতা, কাশবনের পাতা খড়কুটো দিয়েই উঁচু তাল গাছে, নারিকেল গাছে, কড়ই গাছে, খেজুর গাছে বাসা বাঁধে। বাসা যখন উঁচু তাল গাছে দোল খায় তখন দারুণ লাগে। তাদের শৈল্পিক চিন্তা এতোই প্রবণ যে, ঝড় কিংবা তুফানেও বাসার কোনো ক্ষতি হয় না। এরা সাধারণত খুঁটে খুঁটে বিভিন্ন বীজ ধান, ভাত, ছোট ছোট পোকা, কচি ঘাস, ছোট উদ্ভিদের পাতা, ফুলের মধু, রেণু ইত্যাদি খেয়ে জীবনধারণ করে। গ্রীষ্মকালে এদের প্রজনন। তারা সাধারণত উঁচু জাতীয় বৃক্ষে বাসা তৈরি করে থাকে। ছবিটি ২২ জুলাই চাঁদপুর শহরস্থ বঙ্গবন্ধু সড়ক এলাকা থেকে তোলা। ছবি ও প্রতিবেদন : বাদল মজুমদার।