সোমবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২২, ০০:০০

টুং-টাং শব্দে মুখরিত ফরিদগঞ্জের কামারপাড়া

টুং-টাং শব্দে মুখরিত ফরিদগঞ্জের কামারপাড়া
ফরিদগঞ্জ ব্যুরো ॥

মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। আর এ ঈদকে সামনে রেখে পশু কোরবানির সরঞ্জাম জোগান দিতে কামারদের দোকানগুলো হাঁপর টানা আর লোহার ওপর টুং-টাং শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে ফরিদগঞ্জ উপজেলার কামারপাড়াগুলোয়। ব্যস্ততা বেড়েছে কামারদের। দম ফেলারও সময় নেই তাদের। নাওয়া-খাওয়া ভুলে অবিরাম কাজ করে চলছেন তারা। কাকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে তাদের কর্মযজ্ঞ। কেউ ভারি হাতুড়ি দিয়ে পেটাচ্ছেন আগুনরঙা লোহার দণ্ড, কেউ পোড়া দা ও ছুরিতে দিচ্ছেন শান। কেউবা হাঁপর টেনে বাতাস দিচ্ছেন।

গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়ন, ভাটিয়ালপুর চৌরাস্তা, চরদুঃখিয়াসহ বিভিন্ন কামারপাড়া ও দোকান ঘুরে দেখা যায়, দা, ছুরি, চাকু ও বটির বেচাকেনা বেড়েছে। তবে কারিগরদের অভিযোগ, তাদের পরিশ্রমের তুলনায় মজুরি অনেক কম।

জানা গেছে, এ বছর প্রতি পিচ চাকু ১০০-১৫০ টাকা, দা ৩০০-৬০০ টাকা, ৬০০ টাকা কেজি দরে চাপাতি, জবাই ছুরি ৮০০-১২০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও পুরানো সব যন্ত্রপাতি শান দিতে গুণতে হচ্ছে ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। সারা বছর তেমন কাজ না থাকায় অনেকেই বাধ্য হয়ে পৈত্রিক এ পেশা পরিবর্তন করছে।

ফরিদগঞ্জ বাজারের দুলাল কর্মকার জানান, গত বছর এ ঈদের সময় দিনে ৩ হতে ৪ হাজার টাকা রোজগার হলেও এ বছর সেই তুলনায় বেচা-বিক্রি নেই। ‘এ বছর দিনে কত টাকা আয় হয় আপনার’ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দিনে মাত্র এক হাজার ১২শ’ টাকা রোজগার হচ্ছে, যা গত বছরের তুলনায় অনেক কম।

বিশ্বজিৎ কর্মকার জানান, কোরবানি ঈদে তারা প্রতি বছর দা, ছুরি, চাপাতিসহ বিভিন্ন উপকরণ তৈরি করেন। বর্তমানে লোহা ও কয়লার দাম অনেক বেড়েছে। সে তুলনায় কামারশিল্পের উৎপাদিত পণ্যের দাম বাড়েনি। তাদের আশা, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এ শিল্প আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।

রুবেল মিয়া, ইব্রাহিম মিজি, আবুল কালামসহ ক’জন ক্রেতা জানান, কোরবানি ঈদের আর মাত্র ৪ দিন বাকি। তাই আগেই পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম কেনার কাজটি সেরে ফেলছি। তবে অন্য বছরের চেয়ে এবার ছুরি, চাকু, বটির দাম একটু বেশি বলে জানান তারা।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়