কুমিল্লা জেলা মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে কুমিল্লায় মৎস্য ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মৎস্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাঃ আতিয়ার রহমান। মৎস্য অধিদপ্তরের এফআইকিউসির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আইএমইডির পরিচালক মোঃ শাহীনূর রহমান, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পুলকেশ মন্ডল ও চাঁদপুর মৎস্য প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ অনিল কুমার। কর্মশালার শুরুতে প্রকল্প পরিচালক আব্দুস সাত্তার প্রকল্পের উন্নয়ন কার্যক্রমের অগ্রগতি প্রতিবেদন তুলে ধরেন।

মৎস্য অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ ওমর ফারুকের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ শরীফউদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাসির নগর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শুভ সরকার, লাঙ্গলকোর্ট উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা, চাঁদপুর সদর উপজেলার সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান, তিতাস উপজেলার সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ মৃধা, দৈনিক যুগান্তরের চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি মির্জা জাকির, ফিসিং বোট মালিক সমিতির আহ্বায়ক শাহআলম মল্লিক, জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক তছলিম বেপারী, ফরিদগঞ্জ উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম জুয়েল, লাঙ্গল কোর্ট উপজেলার সুফলভোগী খোরশেদ আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের সুফলভোগী এম আমজাদ চৌধুরী রুনু প্রমুখ।

এ কর্মশালায় চাঁদপুরের বিভিন্ন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাসহ সাংবাদিক ও বিভিন্ন পর্যায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ নেন।

কর্মশালায় সুফলভোগী জেলে পরিবারের সদস্য, মৎস্য চাষী, খামারী ও মৎস্যজীবী নেতৃবৃন্দ বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে আয় বৃদ্ধির জন্যে বকনা বাছুর, ছাগল, ভেড়া, সেলাই মেশিন, ভ্যানগাড়ি প্রদানের ফলে অনেক পরিবার সাবলম্বী হয়েছে। বেকারত্ব দূর হয়েছে। পুকুর খননের ফলে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃহত্তর কুমিল্লার কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চাঁদপুরে মৎস্য উৎপাদনে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে এ প্রকল্পের মাধ্যমে। বক্তারা এ প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য উপস্থিত অতিথিবৃন্দের নিকট জোর দাবি জানান।