রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ২৬ মে ২০২২, ০০:০০

নজরুলের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে বর্তমান প্রজন্মকে
স্টাফ রিপোর্টার ॥

সাম্যের কবি, বিদ্রোহী কবি, মানবতার কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর ১২৩তম জন্মজয়ন্তী উদ্‌যাপন করেছে চাঁদপুরের খ্যাতনামা সাংস্কৃতিক সংগঠন বিশুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চার ধারক ও বাহক চাঁদপুর সংগীত নিকেতন। গতকাল ২৫ মে বুধবার চাঁদপুর শহরের কোড়ালিয়া রোডস্থ সংগঠনের নিজস্ব ভবন চন্দ্রকান্ত সাহা মিলনায়তনে কাজী নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তী উদ্‌যাপন উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় প্রধান অতিথি ছিলেন পুরাণবাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার। তিনি বলেন, আমার দৃষ্টিতে কাজী নজরুল ইসলাম উপমহাদেশের একজন শ্রেষ্ঠ দার্শনিক। যিনি সর্বগুণে গুণান্বিত একজন মানুষ। যিনি ছিলেন সাম্যের কবি, প্রেমের কবি, মানবতার কবি, বিদ্রোহী কবি। তিনি সাহিত্য, গল্প, কবিতাসহ সকল গুণে গুণান্বিত একজন মানবতার কবি। তিনি ধার্মিক ছিলেন, তবে সাম্প্রদায়িক ছিলেন না। সকলকেই তিনি ভালোবেসেছেন নির্বিচারে। যা তাঁর লেখনীর মাধ্যমে ফুটে উঠেছে। তিনি মানবতার জয়গান গেয়েছেন, আবার সমাজের অসঙ্গতি দূরীকরণে মানুষের চেতনা জাগ্রত করতে চেষ্টা করেছেন।

তিনি আরো বলেন, ধর্ম মানুষকে ভেদাভেদ করে নাই। আজ মানুষ ধর্মের দোহাই দিয়ে ভেদাভেদ করছে। আমাদের সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে নজরুলের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে বর্তমান প্রজন্মকে। আজ কেউ কেউ তাদের আচার-আচরণে রবীন্দ্রনাথকে করেছে অপমানিত, নজরুলকে করেছে খণ্ডিত আর লালনকে করেছে লাঞ্ছিত। এ চিন্তা-চেতনা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। আমাদের সমাজব্যবস্থাকে উন্নত সমাজে পরিণত করতে হলে, আমাদেরকে সংস্কৃতি মনোভাবাপন্ন হতে হবে। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর সংগীত নিকেতনের অধ্যক্ষ স্বপন সেনগুপ্ত। সংগীত নিকেতনের শিক্ষক বিমল চন্দ্র দের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন কবি ও ছড়াকার ডাঃ পীযূষ কান্তি বড়ুয়া, সংগঠক অ্যাডঃ শীতল ঘোষ, গীটারশিল্পী দিলিপ ঘোষ, কণ্ঠশিল্পী ব্যাংকার রফিকুল ইসলাম মিন্টু, সাহিত্যিক রফিকুজ্জামান রণি, কবি সজীব মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত শিল্পী, কলাকুশলী, অভিভাবক, আমন্ত্রিত অতিথিবর্গসহ সংগীতপিপাসুদের ব্যাপক উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়। তাদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানস্থল মুখরিত হয়ে উঠে। উৎসবে রূপ নেয় আয়োজিত আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে গত ২০ মে অনুষ্ঠিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।

সংগীত নিকেতনের সাংস্কৃতিক শিক্ষক বিনা মজুমদার, রিয়া চক্রবর্তী, নৃত্য শিক্ষক আভা রায় অপু ও কাব্য কণিকা ঘোষের পরিচালনায় সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন প্রাচী, সুমেধা, বর্ণালী, অহনা, রিচি, দীপা, রাহুল, দিঘি, তনয়, মৌমিতা, পূজা নবনীতা, তন্দ্রা, রুপঞ্জনা, প্রত্যাশা, অনমূয়া, অথৈ, প্রতিভা, রুদ্রনীল, সিমন্তী, অর্ঘ্য, পারমিতা, রিয়া, শংকর আচার্য্য, শান্তি রক্ষিত, তানজিলা, কামরুল, রিচি, প্রাচী প্রমুখ। কবিতা আবৃত্তি করেন কাব্য কণিকা ঘোষ। অনুষ্ঠানে যন্ত্রসংগীতে সহযোগিতা করেন শিক্ষক দ্বীপক চক্রবর্তী। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন শিক্ষক শান্তি রক্ষিত ও মঞ্চসজ্জায় ছিলেন শিক্ষক অমল সেনগুপ্ত ও পলাশ সেনগুপ্ত আর আলোকসজ্জায় ছিলেন দ্বৈপায়ন দাস সেতু।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়