প্রকাশ : ১৯ মে ২০২২, ০০:০০
মার্চ-এপ্রিল দুইমাস পদ্মা-মেঘনার অভয়াশ্রম এলাকায় জাটকা ধরা থেকে বিরত থাকা জেলেদের খাদ্য সহায়তার ভিজিএফের দেড় টন চাল আত্মসাৎ করেছে চাঁদপুর সদরের কল্যাণপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনি। এ অভিযোগে কল্যাণপুর ইউনিয়ন পরিষদের দুটি গুদাম সিলগালা করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
১৮ মে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা শাহনাজের নির্দেশে সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান ইউনিয়ন পরিষদের ওই দুটি গুদাম সিলগালা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, জাটকা রক্ষা কর্মসূচির শেষ দুইমাসের জেলে চাল একত্রে বিতরণ কার্যক্রম এখন চলছে। কল্যাণপুর ইউনিয়ন জেলেদের জন্য ৫৩.৬৮০ মে. টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়।
কিন্তু সেই পরিমাণ চালের মধ্যে দেড় টন চাল কম পাওয়া যায়। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে তিনি গুদাম দুটি সিলগালা করার নির্দেশ দেন।
তিনি আরো বলেন, এই ইউনিয়নে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৭৩৮ জন। বরাদ্দ এসেছে ৬৭১ জনের। বরাদ্দকৃত চালে দুই মাসের ৪০ কেজি করে ৮০ কেজি চাল প্রত্যেক জেলে পাবে।
জেলেদের চাল আত্মসাতের বিষয়ে বক্তব্যের জন্যে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনি পাটোয়ারীর কার্যালয়ে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে কল করেও মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবদুর রশিদ জানিয়েছেন, কল্যাণপুর ইউনিয়ন পরিষদে চাল আত্মসাতের ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেনি, মামলাও হয়নি।
একটি সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন ইউনিয়নে জেলেদের নামে বরাদ্দকৃত সরকারি চাল বিতরণকালে কৌশলে জেলেদের চাল কম দেয়া হয়। কম দেয়া চালের অংশ বিতরণের আগেই গোপনে সরকারি গুদামের একটি চক্রের কাছে বিক্রি করে দেয়া হয়। এমন অভিযোগ দীর্ঘদিন থেকে চলে আসছে। এর আগেও কল্যাণপুর ইউনিয়নে চালের একটি অনিয়মের ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু সুচতুর ইউপি চেয়ারম্যান বারবার পার পেয়ে যান।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ জানান, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বলে দিয়েছি গোডাউন সিলগালা করে দিতে এবং মামলা করতে।
দায়িত্বপ্রাপ্ত মিজানুর রহমান জানান, ‘আমি বাদী হয়ে চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনসহ সদর মডেল থানায় মামলা করেছি।’