প্রকাশ : ১৯ মে ২০২২, ০০:০০
১৭ মে মঙ্গলবার সকালে হাজীগঞ্জ বাজারের পৌর হকার্স মার্কেটের বারেক হাজীর নির্মাণাধীন মার্কেট কাম ভবনের সেফটিক ট্যাংকে পড়ে দুই ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। ঘটনার দিন বিকেলে নিহত দুই ভাইয়ের লাশ মা আর স্ত্রীর কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। ওইদিন রাতেই চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশ্যে লাশ নিয়ে হাজীগঞ্জ ছেড়েছে নিহতের পরিবার। এদিকে নিহত দুই ভাই টোরাগড় এলাকাসহ হাজীগঞ্জ বাজার এলাকায় এতোটাই ভদ্র হিসেবে পরিচিত ছিলো যে, সেজন্যে হাজীগঞ্জের টোরাগড় এলাকায় তাদের জানাজা দেয়া হয়েছে। তারা চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাছোড় থানার সুখানদীঘি গ্রামের সাজেমান আলীর ছেলে।
ঘটনার দিন থানা এলাকায় গিয়ে জানা যায়, নিহত বড় ভাই গোলাম রাব্বানী (৩০) নিজের দেশে বিয়ে করলেও সদ্য বিবাহিত স্ত্রীকে নিয়ে হাজীগঞ্জের টোরাগড় এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। একই সাথে ছোট ভাই মোহন (২৮) থাকতেন। মঙ্গলবার বাকের হাজীর বিল্ডিংয়ে কাজ করার জন্যে বাসা থেকে বেরিয়ে পড়েন তারা।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে দুই ভাইয়ের লাশ বুঝে আনার পরেই নিহতদের পারিবারের কাছে খবর পাঠানো হয়। এরই মধ্যে থানা কমপ্লেক্সে এসে গগণবিদারী চিৎকারে থানা এলাকা প্রকম্পিত করে তোলে রাব্বানীর স্ত্রী। এরপরেই নিহতদের পক্ষ থেকে মামলা করার জন্যে পুলিশ বলে। নিহতদের পরিবার মামলা না করায় রাব্বানীর স্ত্রী আর নিহত দুই ভাইয়ের মায়ের লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিত ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ বুঝিয়ে দেয়া হয়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী পৌর ৫নং ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর সুমন তফদার জানান, ওই সেফটিক ট্যাংকের মুখ খুলেই ছোট ভাই মোহন ভেতরে নামেন। ট্যাংকের ভেতরের গ্যাসে এরই মধ্যে ছোট ভাইয়ের সাড়া শব্দ না পেয়ে বড় ভাই রাব্বানী ভেতরে নামেন। নেমেই রাব্বানী নিজেই অচেতন হয়ে পড়েন। এ সময় সুমন তফদার বিষয়টি দেখে নিজে হুক লাগিয়ে বড় ভাইকে ট্যাংকির মুখে টেনে এনে তোলার চেষ্টা করেন। এর মধ্যে এই জনপ্রতিনিধি পুলিশ এবং দমকল বাহিনীকে ফোন দেন। এরপরেই দ্ইু ভাইকে ট্যাংকি থেকে তুলে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ জানান, নিহতদের পরিবার এ বিষয়ে মামলা করতে আগ্রহী হয়নি। তাই ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ হস্তান্তর করার জন্যে তারা লিখিতভাবে আমাদের জানায়। তারই প্রেক্ষিতে আমরা লাশ হস্তান্তর করে দেই।