রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ১৮ মে ২০২২, ০০:০০

৬৮ বছর বয়সে নাতি-নাতনি নিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন দাদা তাপু
মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ॥

৬৮ বছর বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন কচুয়া উপজেলা পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সভাপতি ও সাবেক কমিশনার ফনিভূষণ মজুমদার তাপু। সোমবার রাতে উপজেলার সাচার শ্রী শ্রী জগন্নাথ ধাম মন্দিরে আনুষ্ঠানিকভাবে ছেলে-সন্তান ও নাতি-নাতনি নিয়ে সাতপাকে ঘুরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। শেষ বয়সের বিয়ে নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে কৌতূহলের শেষ ছিলো না। ফেসবুকে এই দম্পতির ছবি ভাইরাল হয়েছে।

জানা যায়, ফনিভূষণ মজুমদার তাপু দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের জনক। গত বছর করোনায় আক্রান্ত হয়ে তার স্ত্রী আলো রাণী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। স্ত্রীর মৃত্যুর দেড়বছর পর ছেলে-মেয়ে ও নাতি-নাতনিদের অনুরোধে বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন ফনিভূষণ মজুমদার। কনে শিউলি রাণী কুমিল্লা শহরের অধিবাসী। কনের বয়স প্রায় ৪০। কচুয়া পৌরসভার কড়ইয়া গ্রাম থেকে গাড়ি বহর নিয়ে উপজেলার সাচার জগন্নাথ ধাম মন্দিরে দু’জনে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংবাদিক ও আত্মীয়-স্বজনরা বিয়ে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে কনে নিয়ে বাড়ি ফেরেন ফনিভূষণ মজুমদার। বৃদ্ধ বয়সে মাঝারী বয়সের কনেকে বিয়ে করে নিয়ে এলে নববধূকে এক নজর দেখতে এলাকার শত শত নারী-পুরুষ ভীড় জমায়।

এদিকে ফনিভূষণ মজুমদার তাপুর বিয়ের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়লে এ প্রসঙ্গে তাপু বলেন, গত বছর আমার প্রথম স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করার পর আমি একাকী জীবন অতিবাহিত করছিলাম। এ জন্যেই মূলত পারিবারিকভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি।

নাতি অর্ঘ মজুমদার বলেন, ঠাকুমার মৃত্যুতে আমরা ভাই-বোন একাকিত্ব বোধ করি। মা ও বাবা ডাক্তার হওয়ায় তারা সর্বসময় ব্যস্ত থাকেন। দাদা বাজারে ফার্মেসি নিয়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখেন। আমাদের খেলার সাথী নতুন ঠাকুমাকে পেয়ে আমরা মহাখুশি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়