প্রকাশ : ১৮ মে ২০২২, ০০:০০
৬৮ বছর বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন কচুয়া উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি ও সাবেক কমিশনার ফনিভূষণ মজুমদার তাপু। সোমবার রাতে উপজেলার সাচার শ্রী শ্রী জগন্নাথ ধাম মন্দিরে আনুষ্ঠানিকভাবে ছেলে-সন্তান ও নাতি-নাতনি নিয়ে সাতপাকে ঘুরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। শেষ বয়সের বিয়ে নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে কৌতূহলের শেষ ছিলো না। ফেসবুকে এই দম্পতির ছবি ভাইরাল হয়েছে।
জানা যায়, ফনিভূষণ মজুমদার তাপু দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের জনক। গত বছর করোনায় আক্রান্ত হয়ে তার স্ত্রী আলো রাণী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। স্ত্রীর মৃত্যুর দেড়বছর পর ছেলে-মেয়ে ও নাতি-নাতনিদের অনুরোধে বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন ফনিভূষণ মজুমদার। কনে শিউলি রাণী কুমিল্লা শহরের অধিবাসী। কনের বয়স প্রায় ৪০। কচুয়া পৌরসভার কড়ইয়া গ্রাম থেকে গাড়ি বহর নিয়ে উপজেলার সাচার জগন্নাথ ধাম মন্দিরে দু’জনে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংবাদিক ও আত্মীয়-স্বজনরা বিয়ে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে কনে নিয়ে বাড়ি ফেরেন ফনিভূষণ মজুমদার। বৃদ্ধ বয়সে মাঝারী বয়সের কনেকে বিয়ে করে নিয়ে এলে নববধূকে এক নজর দেখতে এলাকার শত শত নারী-পুরুষ ভীড় জমায়।
এদিকে ফনিভূষণ মজুমদার তাপুর বিয়ের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়লে এ প্রসঙ্গে তাপু বলেন, গত বছর আমার প্রথম স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করার পর আমি একাকী জীবন অতিবাহিত করছিলাম। এ জন্যেই মূলত পারিবারিকভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি।
নাতি অর্ঘ মজুমদার বলেন, ঠাকুমার মৃত্যুতে আমরা ভাই-বোন একাকিত্ব বোধ করি। মা ও বাবা ডাক্তার হওয়ায় তারা সর্বসময় ব্যস্ত থাকেন। দাদা বাজারে ফার্মেসি নিয়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখেন। আমাদের খেলার সাথী নতুন ঠাকুমাকে পেয়ে আমরা মহাখুশি।