প্রকাশ : ১৬ মে ২০২২, ০০:০০
বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে মুন্সীগঞ্জ, চাঁদপুর থেকে আশুগঞ্জ পর্যন্ত ৪৮৭ কিলোমিটার নদী খননে দুই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
এ চুক্তির আওতায় ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত ক্যাপিটাল ও রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে এ নৌপথ পণ্য ও যাত্রীবাহী নৌযান চলাচলের উপযোগী রাখবে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
এজন্য প্রতিষ্ঠান দুটির সঙ্গে রাজধানীর একটি হোটেলে শনিবার ৪২৯ কোটি ৮৭ লাখ ৩২ হাজার টাকার চুক্তি সই হয়। এ চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠানে নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও নৌসচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে দেশের নৌপথ পুনরায় উদ্ধার ও উন্নয়নে হাত দেন। এরই ধারাবাহিকতায় এসব নদী খনন করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশ আঞ্চলিক অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন প্রকল্প-১-এর আওতায় এ দু’টি লটে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেয়া হয়।
চুক্তিতে প্রকল্প পরিচালক ও বিআইডব্লিউটিএ’র অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আইউব আলী এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গালফ কবলা-কর্ণফুলী যৌথ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রশিদ ও অপর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ধারতি-বঙ্গ যৌথ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মোঃ আইনুল ইসলাম সই করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী, পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক প্রমুখ।
চুক্তি অনুযায়ী ১৩টি নৌরুটের উন্নয়ন ও সংরক্ষণ খনন কাজ করবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দুটি। এছাড়া এ প্রকল্পের আওতায় ৬টি স্থানে নৌযানসমূহের ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, ৩টি ফেরি ক্রসিং এলাকায় সংরক্ষণ ড্রেজিং, ৪টি প্যাসেঞ্জার ও ২টি কার্গো টার্মিনাল ও ১৫টি ল্যান্ডিং স্টেশন নির্মাণ এবং ২টি মাল্টিপারপাস ভেসেল সংগ্রহ করা হবে।
প্রকল্পের মোট ব্যয় তিন হাজার ৩৪৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংক দিচ্ছে তিন হাজার ৫২ কোটি ও বাংলাদেশে সরকারের ২৯৬ কোটি টাকা।