প্রকাশ : ১৫ মে ২০২২, ০০:০০
ফরিদগঞ্জে একটি মামলার তদন্ত রিপোর্ট আদালতে পাঠানোর পর বাদীর ওপর ফের সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে একটি প্রভাবশালী পরিবারের বিরুদ্ধে। ১৩ মে শুক্রবার সকালে উপজেলার ১৫নং রূপসা উত্তর ইউনিয়নের রুস্তমপুর গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। প্রকাশ্যে এ ভয়ানক হামলায় পূর্বের মামলার বাদী ও এলাকার নিরীহ বাসিন্দা শেখ ফরিদ মৃধা (৪০), ফয়েজ আহমেদ (৪৬) ও গৃহবধূ ফাতেমা আক্তার (২২) গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করার পর পুলিশি হস্তক্ষেপ কামনা করলে পুলিশ তাদেরকে চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠায়।
জানা যায়, উপজেলার ৩২০ হালে ১৬৫ রুস্তমপুর মৌজার বেশ ক’টি দাগে ৪৮.৬২ শতক সম্পত্তি নিয়ে রুস্তমপুর এলাকার দেলোয়ার হোসেন, লোকমান আমিন, মোশারফ হোসেন বাহার, মোজাম্মেল হোসেন ও নুরুল আমিন গংয়ের সাথে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। ওই সম্পত্তিগত বিরোধকে কেন্দ্র করে শেখ ফরিদ গং হামলার শিকার হয়ে উল্লেখিত ৫ জনকে অভিযুক্ত করে ফরিদগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে (জিডি নং ১২০৬ তারিখ ২৩-০৪-২০২২ খ্রিঃ নথিভুক্ত) আদালতে পাঠালে মামলা হিসেবে গ্রহণ করে পুলিশকে তদন্ত রিপোর্ট প্রদানের দায়িত্ব দেয়া হয়। পুলিশ ১ মে ওই মামলায় দেলোয়ার হোসেন ও লোকমান আমিনকে অভিযুক্ত করে বাকি ৩ অভিযুক্তকে বাদ দিয়ে আদালতে তদন্ত রিপোর্ট পাঠায়। তদন্ত রিপোর্ট যাওয়ার পর আবারো ১৩ মে শুক্রবার দেলোয়ার হোসেন, লোকমান আমিন, মোশারফ হোসেন বাহার, মোজাম্মেল হোসেন ও নুরুল আমিন গং দ্বারা শেখ ফরিদ মৃধার পরিবার হামলার শিকার হয়েছে।
হামলার শিকার শেখ মৃধা জানান, অভিযুক্তরা আমাদের আগে থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে চুরি, ডাকাতিসহ অজ্ঞাত মামলায় জড়ানো ও আমাদেরকে জীবনে খুন করার হুমকি দিয়ে আসছে। শুক্রবার সকালে আমাদের দুই ভাইকে আমাদের বাড়ির পাশে রুস্তমপুর বাজারে পেয়ে দুপা বেঁধে খুন করার পরিকল্পনা করে। বাঁচার জন্যে ডাক-চিৎকার দিলে আমাদের ওপর দেলোয়ার হোসেন, লোকমান আমিন, মোজাম্মেল হোসেন বাবুল, হোসেন ফকির, সোহেল হাজী, মিজান হাজীরা আরো কয়েকজন মিলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বেধড়ক মেরেছে। এ সময় খবর পেয়ে আমাদের পরিবারের সদস্যরা বাঁচাতে এলে তাদের ওপরও হামলা করে করে তারা। পরবর্তীতে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসলে পুলিশ পায়ের বাঁধন খুলে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। আমরা আদালতের কাছে বিচার চাই। বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্তদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, দেলোয়ার হোসেন, লোকমান আমিন, মোজাম্মেল হোসেন বাবুল ও নুরুল আমিন গং অনেক প্রভাবশালী। শেখ ফরিদ গং শুধু মার খেয়েই যাবে, আদালত যদি কোনো ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে শেখ ফরিদদের পক্ষে তাদের সাথে পেরে উঠা সম্ভব নয়। আমরা চাই আদালত সঠিক তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে বিচার করে শাস্তি নিশ্চিত করুক।
বিষয়টি নিয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মোহাম্মদ শহীদ হোসেন বলেন, ভিকটিমরা থানায় আসার পর চিকিৎসা নিতে বলেছি, লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।