রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ১৪ মে ২০২২, ০০:০০

জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পেয়েছেন চাঁদপুরের কৃতী সন্তান ফজলুর রহমান বাবুল
মিজানুর রহমান ॥

বাংলাদেশের প্রথিতযশা ক্রীড়া সংগঠক ফরিদগঞ্জ উপজেলার কৃতী সন্তান মোঃ ফজলুর রহমান বাবুল জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পেয়েছেন। সর্বোচ্চ এ পুরস্কার ২০১৪ সালের জন্যে ঘোষিত হলেও তা পেয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে গত ১১ মে ২০২২ তারিখে। এদিন রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে ২০১৩ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মনোনীত দেশের ৮৫ জন বরেণ্য ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব এ পুরস্কার গ্রহণ করেন। ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এ অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর অনুমতিক্রমে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি মোঃ ফজলুর রহমান বাবুলকে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের পদক পরিয়ে দেন।

ফজলুর রহমান বাবুলের জন্ম ১৯৫১ সালে চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার পাইকপাড়া ৮নং ইউনিয়নের কামালপুর পাটোয়ারী বাড়িতে। তাঁর পিতার নাম মরহুম মোঃ আজিজুর রহমান পাটোয়ারী। তিনি ঢাকার টিএন্ডটি কলোনী মসজিদ ও মাদ্রাসার সাধারণ সম্পাদক, টিএন্ডটি স্কুল ও কলেজের ফাউন্ডার। তাঁর মা রহিমা চৌধুরী পুরাণবাজার পূর্ব শ্রীরামদী চৌধুরী বাড়ির সন্তান।

এই কৃতী সন্তান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধিকার আন্দোলনের অন্যতম নিউক্লিয়াস। ১৯৬৯-৭০ সালে ঢাকা শহর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মতিঝিল থানার (বর্তমান ১১টি থানা) স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন। পাক হানাদার বাহিনী তাঁর বাড়িটি ধ্বংস করেছিলো। চার যুগ ধরে ক্রীড়া অঙ্গনে তাঁর বিচরণ। তিনি ঢাকা মোহামেডানের পারমানেন্ট মেম্বার, বাফুফে, ডামফা, মফুলীর কর্মকর্তা হিসেবে ৪০ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। মতিঝিল টিএন্ডটি ক্লাবের চীফ অ্যাডভাইজার এবং প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। জাতীয় ও মোহামেডান ফুটবল দলের হয়ে বহুবার দেশে-বিদেশে টিম লিডার ও ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেছেন। ফিফা মাঠ ও টার্ফ ম্যানেজমেন্টে দুবার সার্টিফিকেট পেয়েছেন।

এছাড়া ক্যানারী ওয়ারফ ইউকে ফুটবল একাডেমির চীফ কো-অর্ডিনেটর। ১৯৭৭ সালে মুক্তধারা-বাংলা একাডেমি একুশে সংকলন প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়া ১৯৭১ সালে পাকবাহিনী রাজারবাগ পুলিশ লাইনে হামলা চালালে পুলিশের সহযোগী হিসেবে প্রথম পেট্রিয়ট যোদ্ধা ছিলেন। ২৭ মার্চ, ১৯৭১ সালে ২ জন বীর পুলিশ শহীদ হলে টিএন্ডটি ক্লাবের পেছনে অন্যদের সাথে নিয়ে সমাহিত করেন। মোহামেডানের চার যুগের সাফল্যের অংশীদার তিনি। সৃষ্টি করেছেন অসংখ্য খেলোয়াড়। বর্তমানে বাংলাদেশ খো খো ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক।

ফজলুর রহমান বাবুলের পূর্বে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পেয়েছিলেন চাঁদপুরের আরেক কৃতী সন্তান বিশ্বখ্যাত সাঁতারু অরুণ নন্দী। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে এ পুরস্কার গ্রহণ করেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়