প্রকাশ : ১১ মে ২০২২, ০০:০০
পুলিশের কাজে বাধা প্রদান এবং শারীরিক ও মানসিক চাপ সৃষ্টি করার কারণে দায়েরকৃত মামলায় চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক, সদস্য সচিবসহ ৯ জনের জামিন না-মঞ্জুর করে তাদের জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।
১০ মে মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ এসএম জিয়াউর রহমানের আদালতে আসামীরা হাজির হলে বিচারক তাদের জামিন না-মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
মামলার আসামীরা হলেন : চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হযরত আলী ঢালী, সদস্য সচিব কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিম জুয়েল, যুগ্ম আহ্বায়ক সোলায়মান ঢালী, মেরাজ আহমেদ চোকদার, ইখতিয়ার উদ্দিন শিশু, শামসুল আলম সূর্য, মাসুদ মাঝি, খোকন মিজি ও সদস্য ইয়াসিন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, চলতি বছরের ৯ মার্চ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশের সাথে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ৮৯ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে।
মামলায় পুলিশ উল্লেখ করে, ঘটনার দিন উল্লেখিত আসামীসহ আরো ১৫০ থেকে ২০০ জন ঘটনাস্থলে সাধারণ মানুষের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। ওই সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে নেতা-কর্মীরা ইট-পাটকেল ও ৮০-১০টি ককটেল নিক্ষেপ করে। তারা পুলিশের দায়িত্ব পালনে বাধার সৃষ্টি করে।
আসামী পক্ষের আইনজীবী ও চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডঃ কামাল উদ্দিন বলেন, মামলায় উল্লেখিত আসামীরা উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। আজকে চাঁদপুর আদালতে স্বেচ্ছায় উপস্থিত হয়ে জামিন চাইলে বিচারক জামিন না-মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন পিপি অ্যাডঃ রণজিৎ রায় চৌধুরী। তিনি বলেন, আসামীরা পুলিশের দায়িত্ব পালনে বাধা প্রদান করেন এবং তারা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ করার সময় সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন উস্কানিমূলক স্লোগান দেন।
এদিকে, চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র নেতাদের জামিন না-মঞ্জুরের খবর পেয়ে চাঁদপুর আদালতে বিএনপির বহু নেতা-কর্মী একত্রিত হন এবং তাদের মুক্তির দাবিতে আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেন।