প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০২২, ০০:০০
মতলব দক্ষিণ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী নারায়ণপুর বাজারে লাগাতার তিনদিন চুরির ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া প্রায় সময়েই বাজারের বিভিন্ন দোকানে চুরির ঘটনা ঘটছে বলে ভুক্তভোগী দোকানদাররা জানান। এতে আতঙ্কে রয়েছেন বাজারের ব্যবসায়ীরা।
জানা যায়, গত ২৪ এপ্রিল রাতে নারায়ণপুর বাজারের ব্যবসায়ী কাউছার কাজীর মুদি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে। সংঘবদ্ধ চোরের দল ওই দোকান থেকে প্রায় লক্ষাধিক টাকার মালামাল ও নগদ অর্থ চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পরদিন গত ২৫ এপ্রিল রাতে বাজারের পুস্তক ব্যবসায়ী জনতা লাইব্রেরির স্বত্বাধিকারী ও নারায়ণপুর প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ মোস্তফা কামালের দোকান এবং মিঠি স্বর্ণ শিল্পালয়ে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে। এছাড়া গত ২৭ এপ্রিল রাতে মেসার্স বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে বাজার ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে রয়েছেন।
জনতা লাইব্রেরির স্বত্বাধিকারী মোস্তফা কামাল জানান, প্রতিদিনের মতো দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যাই। পরেরদিন সকালে দোকানের তালা খুলে দেখি পেছনের টিনের বেড়া ভেঙে চোরের দল একটি ল্যাপটপ, দুটি মোবাইল সেট, নগদ ১৫ হাজার টাকাসহ প্রায় ৮০ হাজার টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়।
মেসার্স বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজের মালিক মোঃ জাহিদুর রহমান জাহাঙ্গীর মিয়াজী জানান, সংঘবদ্ধ চোরের দল আমার দোকান থেকে ২টি সিসি ক্যামেরা, ক্যামেরার যন্ত্রাংশ ও নগদ অর্থসহ প্রায় ৩০ হাজার টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা বাজার বণিক ও জনকল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দের কাছে ব্যবসায়ের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ ও নিরাপত্তা দাবি করেন। সমিতির সভাপতি মোঃ সফিকুল ইসলাম স্বপন মজুমদার জানান, ঈদকে সামনে রেখে সংঘবদ্ধ চোরের দল এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে মনে হয়। তিনি আরও জানান, সকালে পাহারাদার চলে যাওয়ার পর দোকানদার আসার আগে প্রায় ১ ঘণ্টা বাজার জনশূন্য থাকে। চোরেরা এই সুযোগটা কাজে লাগিয়েছে। তিনি বলেন, চুরির ঘটনাস্থল সরেজমিনে পরিদর্শন করি। এ বিষয়ে মৌখিকভাবে মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।
মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন মিয়া জানান, নারায়ণপুর বাজারের চুরির বিষয়ে আমার কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবো। তিনি বলেন, বাজারের চুরির বিষয়ে আমি খোঁজখবর নিচ্ছি।