প্রকাশ : ২৬ এপ্রিল ২০২২, ০০:০০
চাঁদপুরের মেঘনা নদীর পশ্চিমপাড়ে আলুরবাজার নৌপুলিশ ফাঁড়ি অবস্থিত। চলমান অভিযানের দু মাস প্রায় শেষ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এ ফাঁড়ি এলাকা ভেতরে হওয়ায় জেলেরা অভিযানের নিষিদ্ধ সময় জাল ফেলে ইলিশ মাছ ধরে থাকে।
একটি সূত্র জানায়, আলুর বাজার নৌপুলিশ ফাঁড়ির কিছু পুলিশ সদস্যের যোগসাজশে প্রকাশ্য দিবালোকে জেলেরা জাল নৌকা নিয়ে নদীতে মাছ ধরার জন্যে নামে। আর বিনিময়ে তারা পায় নৌকাপ্রতি ১২/১৫শ’ টাকা। আর ওই এলাকায় কোস্টগার্ড ও নৌ এসপির অভিযানের সংবাদ আলুরবাজার পুলিশ ফাঁড়ি থেকে জেলেদেরকে মোবাইল ফোনে জানিয়ে দেয়া হয়। সাথে সাথে তারা নদীর পাড়ে বড় রশি টেনে জাল বেঁধে রেখে চলে যায়। অফিসারদের মহড়া শেষ হয়ে যাওয়ার পর পুনরায় জেলেরা নদীতে নেমে পড়ে। এভাবেই আলুর বাজার নৌপুলিশ ফাঁড়ির পুলিশের সামনে দিয়ে নিষিদ্ধ সময় নদীতে জেলেরা জাল ফেলে ইলিশ মাছ ধরে থাকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় লোকজন জানান, আলুরবাজার নৌপুলিশ ফাঁড়ির সহযোগিতায় জেলেরা চলমান অভিযানের নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরার জন্যে জাল-নৌকা নিয়ে নদীতে নামে। চাঁদপুর থেকে নৌ এসপি স্যার ও কোস্টগার্ডের লোকজন আসার আগেই জেলেদেরকে ফাঁড়ি থেকে ফোন করে জানিয়ে দেয়া হয়। জেলেরা তখন নদী থেকে চলে আসলে তাদেরকে আটক করতে পারে না।
এ ব্যাপারে আলুরবাজার নৌপুলিশ ফাঁড়ির আইসি বলেন, নদীতে তো মাছ নেই। জেলেরা নামবে কী করতে? আমার ফাঁড়ি এলাকায় জেলেরা নদীতে নামে না। মোহনপুর, নীলকমল এলাকায় জেলেরা নদীতে মাছ ধরার জন্যে নেমে থাকে।