শনিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ২৪ এপ্রিল ২০২২, ০০:০০

হাজীগঞ্জে যানজট নিরসনে রাস্তায় নামলেন মেয়র
পাপ্পু মাহমুদ ॥

হাজীগঞ্জ বাজারের যানজটে নিত্য দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থী, পথচারী ও যানবাহনের যাত্রীরা। যানজটের শহরে পরিণত হয়েছে হাজীগঞ্জ। চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের ১ কিলোমিটার জুড়ে হাজীগঞ্জ বাজারটি অবস্থিত। আর এ পুরো ১ কিলোমিটার জুড়ে যানজট লেগেই থাকে। হাজীগঞ্জ পৌরসভা ও পুলিশ প্রশাসন বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েও যানজট মুক্ত করতে পারছে না বাজারটিকে। দূরপাল্লার বাস ও ট্রাক হাজীগঞ্জ বাজার অতিক্রম করতে প্রতিদিনই বাড়তি সময় ব্যয় করতে হয়। এ সড়ক দিয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীর যানবাহন চলাচল করে।

সর্বশেষ হাজীগঞ্জ পৌর মেয়র আসম মাহবুব উল আলম লিপন নিজেই রাস্তায় নেমে যানজট নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন।

হাজীগঞ্জ পূর্ব বাজার থেকে পশ্চিম বাজার পর্যন্ত সকাল থেকে যানজট লেগেই থাকে। পূর্ব বাজারে তরমুজের আড়তের কারণে যানজট আরো তীব্র হচ্ছে। মহাসড়কের দুপাশে তরমুজের আড়তগুলো। সড়ক দখল করে ট্রাকে তরমুজ লোড-আনলোড করে।

ট্রাফিক পুলিশ ও পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, বাজারের দুপাশে হকার ও যত্রতত্র গাড়ি পার্কিংয়ের কারণে যানজট তৈরি হয়। সিএনজি চালিত আটোরিকশা ও আটোবাইক বাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে না দাঁড়িয়ে যত্রতত্র সড়কে পার্কিং করে যাত্রী উঠানামা করে। সড়কের কিছু অংশ ও ফুটপাত দখল করে হকাররা। পৌরসভার লাইসেন্সকৃত প্রায় ৫শ’ অটোবাইক প্রতিদিন চলাচল করে। তাছাড়া গ্রাম থেকে প্রতিদিন কয়েশ’ আটোরিকশা বাজারে প্রবেশ করে।

হাজীগঞ্জ পৌর মেয়র আসম মাহবুল উল আলম লিপন বলেন, যানজট নিয়ন্ত্রণে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে। হাজীগঞ্জ বাজারটি অনেক প্রসিদ্ধ, তাই প্রতিদিন এ বাজারে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। ঈদকে কেন্দ্র করে চাপ আরো বেড়ে গেছে।

ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) মাহফুজ মিয়া জানান, বাজারটিতে রিকশা, অটোবাইক ও সিএনজি চালিত আটোরিকশা অনেক বেশি। তাই সামাল দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হয়। ফুটপাতে আমরা কোনো হকার এখন বসতে দেই না। গত দুই বছর করোনার জন্যে মানুষ ঈদে কেনাকাটা তেমন করেনি। এ বছর করোনা ও বিধিনিষেধ না থাকায় প্রচুর মানুষ হাজীগঞ্জ বাজারে কেনাকাটা করতে আসছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়