প্রকাশ : ২৩ এপ্রিল ২০২২, ০০:০০
মতলব উত্তর উপজেলায় গত বুধবার ও বৃহস্পতিবারের কালবৈশাখীতে প্রায় ১০০ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপজেলার মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের বেড়িবাঁধের ভেতর বোরো ধান, ভুট্টা ও কাঁচা মরিচের ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে উপজেলার মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের বেড়িবাঁধের ভেতর ৯ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে বোরো, ২ হাজার ২৯০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা ও ১০ হেক্টর জমিতে কাঁচা মরিচের আবাদ করা হয়েছে। গত বুধবার ও বৃহস্পতিবারের কালবৈশাখী ঝড় ও ভারী বৃষ্টিপাতে সেখানকার ৬৫ হেক্টর জমির রোপা বোরো ধান, ৩০ হেক্টর জমির ভুট্টা ও ৫ হেক্টর জমির কাঁচা মরিচের ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের বেড়িবাঁধের ভেতর উপজেলার ছেংগারচর, ঘনিয়ারপাড়, ঠেটালিয়া, ফতেপুর, ইসলামাবাদ, টরকী, রাঢ়ীকান্দি, ওটারচর, খাগুরিয়াসহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ওই দুই দিনের ঝড়ে সেখানকার বেশ কিছু জমির কাঁচা ও আধাপাকা বোরো এবং কিছু জমির ভুট্টা মাটিতে নুইয়ে আছে। বৃষ্টির পানিতে আংশিকভাবে তলিয়ে আছে এসব এলাকার অনেক ধান, কাঁচা মরিচ ও ভুট্টাখেত। বড় ক্ষতি এড়াতে কৃষকেরা আধাপাকা ধান কাটতে শুরু করেছেন। ফসলহানির শঙ্কায় কৃষকের চোখে-মুখে হতাশা ও উদ্বেগের ছাপ দেখা গেছে।
মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের ওটারচর গ্রামের কৃষক আতাউর রহমান বলেন, আত্মীয়-স্বজনদের থেকে ধার করে এ মৌসুমে ৪ বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছেন তিনি। ফলন মোটামুটি ভালো হয়েছে। ফসল কাটারও প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ কালবৈশাখীর ছোবলে তার ধানক্ষেত ল-ভ- হয়ে যায়। কিছু ধানগাছ নুইয়ে আছে আর কিছু বৃষ্টির পানিতে আংশিক তলিয়ে গেছে। এ অবস্থায় ধান কাটতে পারছেন না তিনি।
উপজেলার সাদুল্লাপুর গ্রামের কৃষক মোঃ শরিফ বলেন, প্রায় ১০০ শতাংশ জমিতে এবার ভুট্টা ও বোরোর চাষ করেছেন তিনি। কালবৈশাখীতে তার প্রায় সব জমির পাকা ও আধাপাকা ধানের ফসল মাটিতে নুইয়ে গেছে। পানি ও কাদায় একাকার হয়ে আছে ধানক্ষেত। অবস্থার উন্নতি না হলে ধান কাটা সম্ভব নয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সালাউদ্দিন বলেন, মতলব উত্তর উপজেলায় এবার ধানসহ অন্যান্য ফসলের ফলন ভালো হয়েছে। তবে কালবৈশাখীতে বেশ কিছু ক্ষেতের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কয়েকদিন টানা রোদ পড়লে কৃষকেরা ফসল কেটে ঘরে তুলতে পারবেন। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও কমবে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সূত্র : প্রথম আলো।