শনিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ১৬ এপ্রিল ২০২২, ০০:০০

স্ত্রী রোজিনার প্রতারণায় সর্বস্বান্ত প্রবাসী শহিদ আলম
স্টাফ রিপোর্টার ॥

মতলব উত্তরে স্ত্রী রোজিনা প্রতারণা করে প্রবাসী স্বামী শহিদ আলমের প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে, পাশাপাশি স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা ও বিভিন্ন হুমকি দেয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে। আর এ কারণে ভেঙে যাচ্ছে ২২ বছর ধরে প্রবাসে থাকা শহিদ আলমের সুখ স্বপ্ন।

জানা গেছে, ছেংগারচর পৌরসভার বড় মরাধন গ্রামের বাসিন্দা মৃত সাইজ উদ্দিনের ছেলে প্রবাসী শহিদ আলমের স্ত্রী রোজিনা প্রতারণা করে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। এমনকি শহিদ আলমের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে। আবার গত ক’দিন ধরে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে স্ত্রী রোজিনা ও তার মা। স্ত্রীর এমন ঘটনা দেখে দিশেহারা স্বামী। ভুক্তভোগী স্বামী শহিদ আলম ও তার স্বজনরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। স্ত্রীর এমন কার্যকলাপ দেখে স্বামী আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের অক্টোবর মাসে ইসলামিক শরীয়া মোতাবেক শহিদ আলম ও রোজিনা আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে শুভ নামে ৭ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

দীর্ঘ ৯ বছরের সংসারে স্ত্রী রোজিনা বার বার বাহানা দিয়ে স্বামীর নিকট টাকা চাইতো। স্ত্রীর সুখের কথা চিন্তা করে ধার-দেনা করেও টাকা পাঠাতেন। ৯ বছরে প্রায় অর্ধকোটি টাকা পাঠিয়েছেন শহিদ আলম। বিয়ের আগে জমানো টাকাও স্ত্রীকে দিয়েছেন ঢাকাতে ফ্লাট বাড়ি কিনবে বলে। সেই দলিল ও টাকার হিসেব চাইতেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য শুরু হয়। স্ত্রী বিভিন্ন ছলচাতুরি শুরু করে। এমনকি পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন রোজিনা। স্ত্রীর বেপরোয়া জীবনযাপনের ফলে শহিদ আলম বাধ্য হয়ে ৪ মার্চ দেশে আসেন এবং ২৪ মার্চ চাঁদপুরস্থ আদালতে একটি অভিযোগ দাখিল করেন।

শহিদ আলম জানান, আমার স্ত্রী রোজিনা যখন যা চাইতো আমি তাণ্ডই দিতাম। তার কোনো দাবি আমি অপূর্ণ রাখতাম না। বিভিন্ন সময় স্বর্ণালংকার, মোবাইল ব্যাংকিং ও ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠিয়েছি। তারপরও রোজিনা ছেংগারচর পৌরসভার দেওয়ানজিকান্দি গ্রামের মৃত হাসেম ঢালীর ছেলে রবিউলের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এমনকি তার সাথে বাসা ভাড়া করে ঢাকায় বসবাস করে। ফ্লাট কিনার নামে যে ৩০ লক্ষ টাকা নিয়েছে তাতে ফ্লাট কিনেনি। আমার টাকা দিয়ে দুই শ্যালিকাকে বিয়ে দিয়েছে। শ্বশুরকে বিদেশ পাঠিয়েছে, গরু কিনে দিয়েছে এবং শ্বশুর বাড়িতে দালান করা হচ্ছে। আমার সারাজীবনের অর্জিত প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে রোজিনা। আমি এখন নিঃস্ব। ভেঙ্গে যাচ্ছে আমার জীবনের স¦প্ন। আমি এ প্রতারণার সঠিক বিচার চাই।

তাদের বিষয় নিয়ে এলাকায় একাধিকবার সালিস-দরবারও হয়েছে। স্ত্রীকে সঠিক পথে আনার চেষ্টার অংশ হিসেবে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে বারবার চেষ্টা করলেও স্ত্রী সঠিক পথে আসেনি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ জনি শিকদার বলেন, তাদের এ ঘটনা নিয়ে সামাজিকভাবে সমাধান করার জন্য অনেকবার চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি। শহিদ আলমের স্ত্রী ও তার পরিবার কারো কথাই শোনে না।

সেনাইরকান্দি গ্রামের বাসিন্দা প্রবীণ ব্যক্তি হাজী আলী আকবর জানান, রোজিনা নানা ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়ে শহিদ আলমের পুরো পরিবারটা সর্বস্বান্ত করে ফেলেছে। এমনকি তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা করেছে বলে শুনেছি। সে তার অপকর্ম ঢাকার জন্য এ মামলার পথ বেছে নিয়েছে। আমরা গ্রামবাসী তাদেরকে সতর্ক করে দিয়েছি যে, এ ধরনের অপকর্মে লিপ্ত থাকলে সমাজে বসবাস করতে পারবে না।

এ বিষয়ে শহিদ আলমের স্ত্রী রোজিনার বক্তব্য জানতে তার বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার মা বলেছেন, আমার মেয়েদের বিয়ে দিতে কোনো যৌতুক দিতে হয়নি। আর আমার স্বামীর প্রবাস থেকে পাঠানো অর্থ দিয়ে দালান করা হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়