প্রকাশ : ১৬ এপ্রিল ২০২২, ০০:০০
মৎস্য আইন অনুসারে ১২ ইঞ্চির নিচে (৩০ সেন্টিমিটার) পাঙ্গাস ধরা নিষিদ্ধ। চাঁদপুর মেঘনা ও পদ্মার সংযোগস্থল দেশীয় পাঙ্গাস পোনার অন্যতম বিচরণ ক্ষেত্র। চলমান জাটকা মওসুমের বর্তমান সময়টা নদীর পাঙ্গাসের পোনা বেশি দেখা যায়। কিন্তু এক শ্রেণির লোভী জেলে এবং মৎস্য ব্যবসায়ী মেঘনা নদীর পাঙ্গাসের পোনাগুলো বড় হবার সুযোগ দিচ্ছে না। বিভিন্নস্থানে অবৈধভাবে ঝাঁকেঝাঁকে পাঙ্গাসের পোনা নিধন করছে। বাঁশের তৈরি ছোট-বড় চাঁইয়ের মাধ্যমে মূলত নির্বিচারে পাঙ্গাসের পোনা ধরা হচ্ছে। ফলে সুস্বাদু এবং মূল্যবান এ মাছটি হারিয়ে যেতে বসেছে। নদীর ছোট ছোট পাঙ্গাস মাছের পোনা এখন প্রকাশ্যে গ্রামের হাট-বাজার থেকে শুরু করে শহরে বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে। চাঁদপুরের মৎস্যজীবী নেতা তসলিম বেপারী বলেন, ‘চাঁদপুরের মোহনা ও সুরেশ্বর পয়েন্টে যে পরিমাণে পাঙ্গাসের পোনা অবৈধভাবে ধরা হয়, সে সব যদি রক্ষা করা যেতো তাহলে এ অঞ্চলকে আমরা ইলিশের পাশাপাশি পাঙ্গাসের খনিতে পরিণত হতো।
স্থানীয় সাধারণ জেলে ও সচেতন ব্যক্তিরা বলছেন, নদীতে ছোট ফাঁসের জাল, মশারি জাল, গছিজাল, বাধাজাল, চাঁই, চায়না চাঁই অবাধ ব্যবহারে মাছের স্বাভাবিক প্রজনন, বংশবিস্তার ও বৃদ্ধি ব্যাহত হচ্ছে। চাঁদপুরের নদণ্ডনদীতে নিষিদ্ধ সময় অবৈধ জালে যেভাবে ইলিশসহ বিভিন্ন মাছের পোনা হত্যা চলছে, এতে অচিরেই মাছের ভা-ার শূন্য হয়ে পড়বে।
এ ব্যাপারে প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের নজরদারি এবং তৎপরতা বাড়ানো দরকার। নদীর পাঙ্গাস পোনা নিধন বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।