প্রকাশ : ১৬ এপ্রিল ২০২২, ০০:০০
চাঁদপুরে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ১৪২৯ বঙ্গাব্দের বর্ষবরণ উদ্যাপিত হয়েছে। পহেলা বৈশাখ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে আনন্দঘন পরিবেশে একটি বর্ণিল মঙ্গল শোভাযাত্রা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে চাঁদপুর শহরের প্রেসক্লাব ঘাটস্থ ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে বৈশাখী লোকজ মেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। এ শোভাযাত্রায় রং-বেরংয়ের পোশাকে বিভিন্ন সাজে সজ্জিত হয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সুধীজন, সাংস্কৃতিক সংগঠক, শত শত শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রদর্শনী এ শোভাযাত্রাকে আকর্ষণীয় করে তোলে। বর্ষবরণ শোভাযাত্রা ও দিনব্যাপী বৈশাখী মেলার শুভ উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। ১৮-২০টি দোকান মেলায় স্থান পায়। পরে সেখানে অনুষ্ঠিত হয় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং চাঁদপুর পৌরসভার ব্যবস্থাপনায় শুভ নববর্ষের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ১৪২৯। এসব কর্মসূচিতে জেলা প্রশাসক ছাড়াও পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ বিপিএম (বার), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইমতিয়াজ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রাশেদা আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আসিফ মহিউদ্দীন, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারীসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেছেন, বিভিন্ন ধর্মে-বর্ণে বিভক্ত হলেও ঐতিহ্য ও কৃষ্টির জায়গায় সব বাঙালি এক ও অভিন্ন। নানা ঘাত-প্রতিঘাতে অনেক ঐতিহ্য হারিয়ে গেলেও পয়লা বৈশাখে নববর্ষ উদ্যাপন এখনও স্বমহিমায় টিকে আছে।
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত দুবছর পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে কোনো আয়োজন ছিল না। এবার করোনা সংক্রমণ কম থাকায় সাড়ম্বরে উদ্যাপন শুরু হলো পয়লা বৈশাখের।
তিনি বলেন, কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হলো নববর্ষ। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখণ্ডশান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদ্যাপিত হয় নববর্ষ। আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে হারিয়ে যেতে দেয়া হবে না। এ প্রজন্মকে আমাদের অতীতের গৌরবের সবকিছু জানাতে হবে।
জেলা প্রশাসক বলেন, মানুষের মনে শুভবোধ জাগিয়ে তুলতে হবে ও অপশক্তি রোখার শপথ নিতে হবে এবং দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে হবে।
আলোচনা শেষে চাঁদপুর শিল্পকলা একাডেমির পরিবেশনায় বর্ষবরণের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাংবাদিক এম আর ইসলাম বাবু।
বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়।