শনিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ১৩ এপ্রিল ২০২২, ০০:০০

দুই ভাইয়ের বিরোধে পাকা ঘাটলার সামনে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ
কামরুজ্জামান টুটুল ॥

দুই ভাইয়ের সম্পত্তিগত বিরোধে এক ভাইয়ের পারিবারিক পাকা ঘাটলার সামনে আরেক ভাই বাঁধ নির্মাণ করে ঘাট ব্যবহার স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ভাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পাচ্ছেন না। তবে বাঁধ নির্মাণকারী বলেছেন, তিনি তার ক্রয়কৃত অংশ দখলে নিয়েছেন মাত্র। ঘটনাটি হাজীগঞ্জের বাকিলা ইউনিয়নের ফুলছোঁয়া বেপারী বাড়ির।

জানা যায়, বাকিলা ইউনিয়নের ফুলছোঁয়া বেপারী বাড়ির মৃত আঃ রব বেপারীর ৫ ছেলের মধ্যে তাজুল ইসলাম বেপারী ও সিরাজুল ইসলাম বেপারীর মধ্যে সম্পত্তিগত বিরোধ চলছে। সম্প্রতি তাজুল ইসলাম বেপারী পারিবারিক পাকা ঘাটলার সামনে দিয়ে লম্বালম্বিভাবে বাঁধ নির্মাণ করে সিরাজুল ইসলাম বেপারী। তাই নয়, বাঁধের উপরে কলাগাছ লাগিয়ে তাতে নেটের বেড়া দিয়ে দেন তিনি। এতে করে তাজুল ইসলাম বেপারীর ঘাটলা ব্যবহার করা বন্ধ হয়ে যায়। গ্রামের একটি কৃষক পরিবারের ব্যবহারের পাকা ঘাটলা এভাবে বন্ধ করে দেয়া দেখে স্থানীয়রা হতবাক হয়ে পড়েন।

এ বিষয়ে যুবলীগ নেতা মাইনুদ্দিন মিয়াজীসহ স্থানীয়রা বলেন, ঘাটলার সামনে এভাবে বাঁধ তৈরি করে নারীদের ঘাট ব্যবহার বন্ধের বিষয়টি আমরা সরজমিনে দেখে হতবাক হয়েছি। কেবল ভাই হিসেবে নয়, মানবিকতা বিবেচনায়ও সিরাজুল ইসলাম এটা করতে পারেন না।

এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত তাজুল ইসলাম বেপারী বলেন, বাবা মায়ের অবর্তমানে বাবার পুকুরের মধ্যে থাকা ৫৪ শতক জমির মধ্যে ৩৬ শতাংশ জমির ভাগ ভাই সিরাজুল ইসলামের। এর মধ্যে ১৮ শতাংশ সম্পত্তি আপস নিষ্পত্তির ভিত্তিতে ভোগ দখলে আমাকে দেয়া হয়। যে কারণে আমি আমার বসতঘর লাগোয়া পুকুর পাড়ে পাকা ঘাটলা নির্মাণ করি। রমজান মাসে আমার ঘাটলার সামনে এমনভাবে বাঁধ নির্মাণ করে চিরতরে ঘাটলাকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আমি চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু এখনো কোনো প্রতিকার পাইনি।

সিরাজুল ইসলাম বেপারী এ বিষয়ে বলেন, পুকুরের যে অংশে আমি পাড় বেঁধেছি সেটি আমার ক্রয় করা সম্পত্তি। যা পাশের হিন্দুদের থেকে কিনেছি। তাছাড়া এ বিষয়ে আদালতের অনুমতি রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল বাসার বলেন, তাজুল ইসলামের দেয়া অভিযোগ জেনেছি। কিন্তু আদালতে অভিযোগ থাকায় এ বিষয়টি সমাধান করা সম্ভব হয়নি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়