প্রকাশ : ১২ এপ্রিল ২০২২, ০০:০০
শাহরাস্তিতে গণধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলায় ২ আসামীকে আটক করা হয়েছে। গতকাল সোমবার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এ বিষয়ে প্রেসব্রিফিং করা হয়। প্রেসব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ, বিপিএম (বার) জানান, কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ থানার বাংলাইশ গ্রামের মৃত ইউনুছ মিয়ার মেয়ে লামিয়া আক্তারের সাথে চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি থানার রঘুরামপুর গ্রামের মোঃ আঃ মতিনের ছেলে মেহেদী হাসানের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে মেহেদী তার প্রেমিকা লামিয়াকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শাহরাস্তি থানার যাদবপুর গ্রামে আসতে বলে। লামিয়া প্রেমিক মেহেদীর কথায় সরল বিশ্বাসে ২৮ মার্চ সন্ধ্যা প্রায় সাড়ে ৭ টায় শাহরাস্তির ওই স্থানে আসলে তাকে আসামী মেহেদীর বাড়ির পূর্ব পাশে বিলের ভেতরে জনৈক গাজীউলের খালি জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ভিকটিম লামিয়াকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক মেহেদি হাসান ও যাদবপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে আবু সালেহ পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় আসামী আবু সালেহ তার মোবাইল দিয়ে ধর্ষণের নগ্ন ছবি ধারণ করে এবং পরবর্তীতে ভিকটিমের মায়ের কাছে টাকা দাবি করে। দাবিকৃত টাকা না দেয়া হলে উক্ত নগ্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে ভিকটিম লামিয়া গত ১০ এপ্রিল শাহরাস্তি থানায় এজাহার দায়ের করলে তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ১০ এপ্রিল রাতে মূল আসামী মোঃ মেহেদী হাসান (২৪) ও সহযোগী আবু সালেহকে (২৩) আটক করা হয়। এ বিষয়ে এজাহার নামীয় পলাতক আসামী দ্বীন ইসলাম (২০)কে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানানো হয়।
প্রেসব্রিফিংকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়সহ তদন্তকারী কর্মকর্তা আসাদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।