প্রকাশ : ১১ এপ্রিল ২০২২, ০০:০০
পবিত্র মাহে রমজান উম্মতে মুহাম্মদির জন্য যে তোহফা হিসেবে রাব্বুল আলামিন দিয়েছেন, তার নানা উদ্দেশ্য রয়েছে। আল্লাহপাক তাঁর বান্দাকে মুমিনে কামিল হিসেবে পরিণত করতে রমজান মাস দিয়েছেন। আর মুমিনে কামিল হতে হলে আত্মার পরিশুদ্ধতা ছাড়া বিকল্প কিছু নেই।
রমজান মাসের রোজা মুমিনের আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আত্মা পরিশুদ্ধ হলে প্রতিটি ইবাদত রুহের সাথে তথা আত্মার সাথে সম্পর্ক হয়ে যায়। আর তাই রমজান মাসের অন্যতম প্রধান দাবি হচ্ছে রুহের তথা আত্মার ইবাদত। পক্ষান্তরে রুহের ইবাদত ছাড়া বাহ্যিক ইবাদতের কোনো মূল্য নেই। ইবাদতের সাথে আত্মার সম্পর্ক থাকতে হবে। আমি রোজা রাখলাম, নামাজ পড়লাম, হজ্জ করলাম, জাকাত দিলাম। সব ইবাদত করলাম। কিন্তু এসবের সম্পর্ক যদি রুহের সাথে না থাকে তাহলে সব ইবাদত হবে মূল্যহীন। রুহের সাথে সম্পর্কটা হলো এমন- আমি নামাজ পড়ছি আল্লাহকে দেখে দেখে। এই স্তর পর্যন্ত না পৌঁছতে পারলেও অন্তত এই বিশ্বাস এবং মনোভাব অবশ্যই থাকতে হবে- আমি মাওলাকে না দেখলেও মাওলা আমাকে অবশ্যই দেখছেন। এই বিশ্বাস এবং মনোভাব প্রত্যেকটি ইবাদতের ক্ষেত্রে থাকতে হবে। বান্দা নিজেকে পরিপূর্ণ রূপে এমন খাঁটি বান্দা হিসেবে পরিণত করার উপযুক্ত মাধ্যমই হচ্ছে রমজান। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা- আমরা যেনো রমজান মাসটাকে এভাবেই মূল্যায়ণ করতে পারি।